পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে আল–কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত করেছে ইসলামাবাদের জবাবদিহি আদালত (অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্ট)।
আজ (সোমবার) বিচারপতি নাসির জাভেদ রানা বলেন, “আজ রায় ঘোষণা করা হবে না। ছুটি (আদালতে) শুরু হচ্ছে এবং হাইকোর্টে একটি কার্যধারাও রয়েছে।” শিগগিরই রায় ঘোষণার জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানান। আগামীকাল (২৪ ডিসেম্বর) থেকে আদালতে শীতকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে এবং এটি ১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী। ১৯ কোটি পাউন্ড তছরুপের অভিযোগে তাঁর ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেছিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। এই মামলায় ইমরান খানকে ২০২৩ সালের মে মাসে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইমরান ও বুশরা বিবি বাহরিয়া টাউন লিমিটেডের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি এবং জমি নিয়েছিলেন। ইমরানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকারের সময় যুক্তরাজ্য পাকিস্তানকে পাঁচ হাজার কোটি রুপি ফেরত দিয়েছিল, যা বৈধ করতে এই লেনদেনগুলি করা হয়েছিল।
ডিসেম্বরে এনএবি ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা, সহ আরও আটজনের বিরুদ্ধে আল–কাদির বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির অভিযোগ আনে। এনএবি দাবি করেছে যে, ইমরান খান করাচির বাহরিয়া টাউন কোম্পানির মালিকানাধীন জমি বেচাকেনায় অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তরে “গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা” রেখেছেন।
এছাড়া, এনএবি আরও দাবি করেছে, অভিযুক্তরা তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন এবং নিজেদের কর্মকাণ্ডের ন্যায্যতা প্রমাণে একাধিক সুযোগ সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে একাধিক অজুহাতে তথ্য প্রদান করেননি।
এ মামলায় আরও সন্দেহভাজনরা রয়েছেন— আবাসন ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হুসেন, তাঁর ছেলে আহমেদ আলি রিয়াজ, মির্জা শেহজাদ আকবর, এবং জুলফি বুখারি। তাঁরা তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ায় যোগ না দিয়ে পলাতক থাকেন এবং পরে তাঁদের স্বীকৃত অপরাধী বলে ঘোষণা করা হয়।
ইমরান খানের স্ত্রী বুশরার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারহাত শাহজাদী এবং পিটিআই সরকারের অ্যাসেটস রিকভারি ইউনিটের আইনবিশেষজ্ঞ জিয়াউল মুস্তফা নাসিমকেও স্বীকৃত অপরাধী ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছয় অভিযুক্তের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
সূত্রঃ পার্সটুডে