মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

অর্থনীতি

সালমান এফ রহমান-শায়ানকে পুঁজিবাজারে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে চরম অনিয়ম এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানির অভিযোগে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে আজীবনের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা আর্থিক জরিমানার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিএসইসির ৯৬৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ জুলাই ২০২৫, ১৯:০৪

পুঁজিবাজারে চরম অনিয়ম এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানির অভিযোগে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে আজীবনের জন্য

পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা আর্থিক জরিমানার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিএসইসির ৯৬৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সভায় পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

শুধু সালমান এফ রহমানই নয়, তার ছেলে ও আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানকেও আজীবনের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের তৎকালীন সিইও ইমরান আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য শাস্তির আওতায় এনে পুঁজিবাজারে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ারের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসিকে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকের তৎকালীন মনোনীত পরিচালক এ আর এম নাজমুস সাকিব, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. জাফর ইকবাল (এনডিসি), কাওমরুন নাহার আহমেদ এবং স্বতন্ত্র পরিচালক সুধাংশু শেখর বিশ্বাসকেও সতর্ক করা হয়েছে।

বিএসইসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুঁজিবাজারে সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কমিশনের এই ধরনের কঠোর অবস্থান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এটি বাজারে একটি সাহসী বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষ করে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার ক্ষেত্রে।

অর্থনীতি

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সহজ করতে, বাংলাদেশকে করাচি বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব পাকিস্তানের

চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ সহজ করতে বাংলাদেশকে করাচি সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ মনে করছে, করাচি পোর্ট ট্রাস্ট (কেপিটি) পরিচালিত এই বন্দর ব্যবহার করলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সমুদ্রপথ উন্মুক্ত হবে এবং আঞ্চলিক সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২৮

চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ সহজ করতে বাংলাদেশকে করাচি সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ মনে করছে, করাচি পোর্ট ট্রাস্ট (কেপিটি) পরিচালিত এই বন্দর ব্যবহার করলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সমুদ্রপথ উন্মুক্ত হবে এবং আঞ্চলিক সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে।

আগামী ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) নবম বৈঠকে এই প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় আসবে। প্রায় ২০ বছর পর এই কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০০৫ সালে

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ও পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের (পিএনএসসি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এই চুক্তি কার্যকর হলে চট্টগ্রাম ও করাচির মধ্যে নিয়মিত পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল সম্ভব হবে, ফলে তৃতীয় দেশের বন্দর নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে করাচি বন্দর থেকে পাঁচ দশক পর প্রথমবারের মতো একটি সরাসরি কার্গো জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। সেই ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তান সামুদ্রিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করে এবং একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দেয়।

ইআরডি জানিয়েছে, এবারের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, হালাল পণ্য মান নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং প্রশিক্ষণ, চিনি শিল্পে কারিগরি সহায়তা, গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, টিকা উৎপাদন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা খাতে সহযোগিতাসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। একইসঙ্গে পাকিস্তান হালাল কর্তৃপক্ষ (পিএইচএ) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর মধ্যে একটি নতুন এমওইউ সইয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে।

এছাড়া পাকিস্তান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০টি নতুন বৃত্তি, একটি পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস স্থাপন এবং নিরাপত্তা সামগ্রী মুদ্রণের জন্য কাগজ ও কালি সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি হয়েছে ৬৬১ মিলিয়ন ডলার, আর বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৭ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ থেকে মূলত পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক ও ওষুধ রপ্তানি হয়; অন্যদিকে পাকিস্তান থেকে আসে তুলা, সুতা, রাসায়নিক দ্রব্য, ওষুধ ও লোহা-ইস্পাতজাত সামগ্রী।

পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, “করাচি বন্দর ব্যবহার করে সরাসরি রপ্তানি চালু হলে বাংলাদেশের জন্য নতুন বাজার উন্মুক্ত হবে। তৈরি পোশাক, চামড়া, কৃষিপণ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় সম্ভাবনা তৈরি হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দুই দেশের মধ্যে ভিসা ও বিমান সংযোগ পুনরায় চালু হওয়ায় পর্যটন ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে। এতে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন অর্থনৈতিক ধারা সৃষ্টি হতে পারে।”

অর্থনীতি

হাসিনার পরিবারসহ ১১ শিল্প গ্রুপের ৪৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও ৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং ৩৯ হাজার ৩০ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে। এর আগে স্থগিত হওয়া ব্যাংক ও বিও হিসাবও আদালতের মাধ্যমে জব্দের আওতায় আনা হয়

নিউজ ডেস্ক

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:২২

শেখ হাসিনার পরিবারসহ দেশের প্রভাবশালী ১১টি শিল্পগ্রুপের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ১ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে, পাশাপাশি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৬ হাজার ৮০৫ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও ৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং ৩৯ হাজার ৩০ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে। এর আগে স্থগিত হওয়া ব্যাংক ও বিও হিসাবও আদালতের মাধ্যমে জব্দের আওতায় আনা হয়।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১১টি শিল্পগ্রুপের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার এবং পাচারের টাকায় বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়ে তোলার তথ্য প্রকাশ্যে আসে। পরবর্তীতে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টির বিষয়ে বিএফআইইউ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় তদন্ত চালায় এবং সেই ভিত্তিতেই প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে দাখিল করা হয়।

অর্থনীতি

বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হচ্ছে পণ্য আমদানির এলসি খোলায় 

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় তুলে নেওয়া হচ্ছে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ন্যূনতম দর বা নগদ মার্জিন। ফলে যেকোনো আমদানিকারক এখন যেকোনো পরিমাণ পণ্য আমদানির জন্য খুলতে পারবেন এলসি। নতুন করে তিন বছরের জন্য (২০২৫-২৮) তৈরি করা আমদানি নীতি আদেশে থাকছে এমন নির্দেশনা। জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নতুন আমদানি […]

বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হচ্ছে পণ্য আমদানির এলসি খোলায় 

বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হচ্ছে পণ্য আমদানির এলসি খোলায় 

নিউজ ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৭

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় তুলে নেওয়া হচ্ছে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ন্যূনতম দর বা নগদ মার্জিন। ফলে যেকোনো আমদানিকারক এখন যেকোনো পরিমাণ পণ্য আমদানির জন্য খুলতে পারবেন এলসি। নতুন করে তিন বছরের জন্য (২০২৫-২৮) তৈরি করা আমদানি নীতি আদেশে থাকছে এমন নির্দেশনা।

জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নতুন আমদানি নীতি আদেশের খসড়া তৈরি করেছে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে খসড়াটির মূল বিষয়গুলো বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের কাছে তুলে ধরার কথা রয়েছে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমানের। এরপর বাণিজ্য উপদেষ্টা কোনো পর্যবেক্ষণ দিলে তা যুক্ত করে আমদানি নীতির খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।

এ বিষয়ে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমদানি নীতি আদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে। এলসির পরিমাণ ও ন্যূনতম দর-সম্পর্কিত বাধ্যবাধকতা যে আর থাকছে না, এ বিষয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হবে নীতি আদেশে।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশের ২০২১-২৪ মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের জুনে। নতুন আদেশ জারির কাজ এক বছরের বেশি সময় চলছে ধরে।