সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ফিচার

পতিত আ’লীগ সরকার সাড়ে ১৫ বছরে ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে -ডা.শফিকুর রহমান

নাটোর প্রতিনিধি  কাউকে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, পতিত আ’লীগ সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশ থেকে ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন, মানবিক ও সাম্যের; তবে এটার জন্য আমাদের অনেক লড়াই করতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যিকারের স্বাধীন দেশের […]

নিউজ ডেস্ক

০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২১:২৬

নাটোর প্রতিনিধি 

কাউকে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, পতিত আ’লীগ সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশ থেকে ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে।

তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন, মানবিক ও সাম্যের; তবে এটার জন্য আমাদের অনেক লড়াই করতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যিকারের স্বাধীন দেশের নাগরিক হবো। সাম্যের বাংলাদেশ গঠনে জামায়াত ইসলামী মানুষের দোয়া, ভালোবাসা ও পরামর্শ চায়, চায় ইতিবাচক সমালোচনা। আমরা ইনসাফ ও ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত; আর কোন বিবেধ নয়, ঐক্যবদ্ধ জাতি নিয়ে সামনের দিকে আগাতে চাই।

শুক্রবার (০৩ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১টার সময় নাটোর শহরের নবাব সিরাজ-উদ দৌলা (এনএস) সরকারী কলেজ মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াত আমীর ডঃ মীর নুরুল ইসলাম। কর্মী সমাবেশ সফল করতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায় থেকে হাজার নেতাকর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে সমবেত হন। পরে সমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিনত হয়।

কর্মী সমাবেশে সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ সাদেকুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর আমীর বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। আমরা চাই সম্মান। আমরা বিদেশে বন্ধু চাই, কিন্তু প্রভু চাই না। তবে এই বন্ধুত্ব হতে সমতার ভিত্তিতে। কেউ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাবে এটা হবে না। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে সসম্মানে থাকবে। কাউকে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না। আমাদেও লক্ষ লক্ষ কর্মী আজ আওয়া তুলে বলছে-আমরা জীবন দেবো কিন্তু এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আর বিক্রি হতে দেবো না।

ডা.শফিকুর রহমান বলেন, একটি শ্রেণী জামায়াতে ইসলামী সর্ম্পকে অপবাদ ছড়ায় এই দল ক্ষমতায় গেলে, ইসলামি শাষন কায়েম হলে মহিলাদেও নাকি আর ঘর ঘেকে বের হতে দেয়া হবে না। এটা ধারনা সঠিক নয়। বরং আমরা এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কাজ করবে। নারীকে কখনো নারী বলে কাজের বাইরে রাখা হবে। নারী তার প্রাপ্য সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সন্তানরা এমনভাবে শিক্ষিত হবে যেন শিক্ষাজীবন শেষে একটা চাকরির জন্য কোন মামা-খালুর পিছনে দৌড়াতে না হয়। শিক্ষাজীবন শেষে হওয়ার আগে কাজই আমাদের সন্তানদের কাছে পৌছে যাবে। এ দায়িত্ব পালন করবে জামায়াতে ইসলামী। আমরা এমন শিক্ষা চাই; যেন আমাদের সন্তানদের মনে মমত্ববোধ, দেশাত্নবোধ ও মানবীয় গুণাবলীতে অনন্য হয়ে ওঠে। আমরা চাই তারা যেন সত্যিকারের মানুষ হয়ে ওঠে।

ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কোন জায়গায় বন্দি হওয়ার জন্য নয়। আমরা প্রস্তুত হয়েছি সত্যিকারের স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য। আমাদের দিকে কেউ লাল চোখে তাকালে সেটা আমরা বরদাস্ত করবো না। আমরা বিদেশি বন্ধু চাই প্রভু চাই না। আমরা সম মর্যাদার ভিত্তিতে বৈদেশিক সর্ম্পক রাখতে চাই।

তিনি আওয়ামীলীগ প্রসঙ্গে বলেন, তারা তিনটি নির্বাচনের নামে তান্ডব চালিয়েছে। তারা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। যারা জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না তাদের আবার কিসের নির্বাচন। এখনও আওয়ামী সিন্ডিকেট দেশের বিভিন্ন স্থানে বসে আছে। কেউ কেউ বলছেন পুরাতন সিন্ডিকেট দখল করেছে নতুন সিন্ডিকেট। তাই আমরা নতুন-পুরাতন কোন সিন্ডিকেট দেখতে চাই না। দেশের মানুষের ওপর জুলুম বন্ধ করতে হবে। এব্যাপারে সরকার যদি উদ্যোগ নেয় আমরা সর্বচ্চো সহযোগিতা দেবো।

তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ চাই। যেখানে কোন ধরনের বিভাজন থাকবে না। আমরা আর টুকরো টুকরো জাতি চাই না, আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ জাতি। এদেশে যারাই বসবাস করবেন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান আমরা সকলেই এদেশের গর্বিত নাগরিক। সকলের মর্যাদা ও অধিকার সমান। আমরা আর মাইনোরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না। আমরা সকলেই এখন এক জাতি। নারী-পুরুষ মিলে এক সঙ্গে এদেশকে গড়ে তুলবো।

ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সাড়ে ১৫ বছরে ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে যা দেশের জাতীয় বাজেটের ৫ গুন। তারা তাদের আমলে জামায়াতের নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, অপহরণ, বাড়িঘর অফিস আদালত লুট করে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। শুধু জামায়াত নয় দেশ প্রেমিক প্রতিটি দল ও সাধারণ মানুষের উপরেও এমন নির্র্যাতন করেছে। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে। দেশের হাজারো আলেম ওলামাকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে টেনে হিচড়ে জেলে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ইজ্জত দেয়ার মালিক আল্লাহ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে সম্মান দেন আবার প্রয়োজনে কেড়ে নেন। গণভবনে সেদিন রান্না হয়েছিল কিন্তু কপালে সেই খাবার লেখা ছিল না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের ১৮ কোটি মানুষকে প্রতিপক্ষ ভেবে নির্যাতন করেছে। মানুষের জন্য তাদের মায়া ভালোবাসা ছিলো না বলেই আন্দোলনের সময় নির্বিচারে ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালিয়েছে। জামায়াত এই আন্দোলনের সকল শহীদদের বাড়িতে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে। সকল আহতদের পাশে সাধ্য মতো দাঁড়িয়েছে। অন্তবর্তি সরকারকে আরো আন্তরিকাতর সাথে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর দাবী জানান। তিনি আশা করে দ্রততম সময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে এই সরকার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে যার যার জায়গায় চলে যাবেন।

তিনি নাটোর প্রসঙ্গে বলেন, নাটোর জেলা কোন অপরাধ করেনি। তারপরও এখানে কোন মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট নেই। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি অন্তত একটি প্রতিষ্ঠান নাটোরে গড়ে তুলে এ বঞ্চনার ইতি টানা হোক। আর ভবিষ্যতে মানুষের ভালোবাসায় জামায়াত ইসলামী দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে নাটোরের জন্য কোন দাবী পাঠাতে হবে না, আমি নিজেই এসব দাবী করে গেলাম।

বিশাল কর্মী সমাবেশে সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ সাদেকুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নিবার্হী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

রাজনীতি

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান। সোমবার […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১০

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান।

সোমবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত রোববার বিকেলে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে রোববার রাতেই নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করেছে।

তিনি জানান, দুই বাসিন্দার পক্ষে রোববার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু একই দিন রাতেই নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দ্রুততার সঙ্গে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ট্রাইব্যুনালের রায় চ্যালেঞ্জ করবে। কিন্তু তা করা হয়নি। বরং, আইন উপদেষ্টার মন্তব্য অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়েই সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারে না যার কার্যকারিতা নেই। এখানে মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

জানা যায়, ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম ও মো. ইশরাক হোসেনের কাছে আইনি নোটিশটা পাঠানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯