শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

আশ্বাসকে বিশ্বাস করলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা, সমাধান না পেলে ফের আন্দোলন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের আশ্বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি বাতিল ও স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে সরে আসলেন অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা কলেজের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আ ন ম নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:০২

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের আশ্বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি বাতিল ও স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে সরে আসলেন অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা কলেজের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আ ন ম নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম হাওলাদার বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আমাদের সংকট ও সমস্যার চিত্র তুলে ধরি। সমস্যা সমাধানে আমরা ঢাবি অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই।

এরপর একই দাবি জানিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ মহোদয়কে স্মারকলিপি দিয়েছি। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর সম্মানিত অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়েছে।

চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি। সর্বশেষ আমরা চলতি সপ্তাহে দাবি আদায়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে আমাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা শুরু করেছেন। আমাদের আন্দোলন যেভাবে চলমান ছিল, একইভাবে সংশ্লিষ্ট সব মহলে আমরা আলোচনাও অব্যাহত রেখেছি।

ঐ শিক্ষার্থী আরো বলেন, সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রথমবারের মতো গত ২৫ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আমাদের আন্দোলনের ন্যায্যতা সম্পর্কে তাদের সামনে তুলে ধরি। তারা আমাদের সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা অনুধাবন করে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।

গত (৩১ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে নাইম হাওলাদার বলেন, সভায় দুই উপদেষ্টা আমাদের দাবি ও আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চান। এরপর তারা আমাদের সাত কলেজের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাইরে পৃথক প্রশাসনিক ভবনে কার্যক্রম চালানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমরা চেয়েছি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়।

তাই ঐ আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। পরে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ সভা শেষ হয়। সবশেষ গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের আমন্ত্রণে আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তিনি আমাদের দাবির যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ‘স্বতন্ত্র পরিচয়’ নিশ্চিতের উপযুক্ত আশ্বাস দিয়েছেন।

অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ অধিভুক্তি চান না। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরাসরি অধিভুক্তির বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার না করলেও একাধিক স্থানে অধিভুক্তি বাতিলের পক্ষে তাদের অবস্থানও পরিষ্কার হওয়া গেছে। দুপক্ষের শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনায় শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের এ আশ্বাস দিয়েছেন।

নাইম বলেন, তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সাত কলেজের ঢাবি অধিভুক্তি বাতিল করবেন। তবে অধিভুক্তি বাতিল হলেও সাত কলেজকে ফের পেছনে ফেরানো হবে না। বরং সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করা হবে। তবে কোনো প্রক্রিয়ায় এ পরিচয় তৈরি করা সম্ভব, সেটা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি ও একটি বিশেষজ্ঞ টিম নির্ধারণ করবে। এজন্য তিনি আমাদের থেকে সময় চেয়েছেন।

চলমান সব কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়ে ঐ শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আমাদের চলমান আন্দোলন-কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এখন থেকে সাত কলেজের দাবি নিয়ে আমাদের মাঠ পর্যায়ে কোনো কর্মসূচি নেই। আমরা শুরু থেকে রাস্তা অবরোধ কিংবা বিক্ষোভ-সমাবেশের মাধ্যমে আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের চেয়ে আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক পদ্ধতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু একটা পর্যায়ে আমরা কোনো ধরনের আশ্বাস না পেয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করেছি। এখন আমাদের মনে হয়েছে, উপদেষ্টার আশ্বাসের পর আর আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। আলোচনার দরজা উন্মুক্ত হয়েছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করতে পারব।

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে আন্দোলন ক্ষণিকের জন্য স্থগিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করলেও স্পষ্ট ভাষায় বলছি, আন্দোলন সাময়িক স্থগিত মানে এই নয় যে, আমরা আন্দোলন থেকে একেবারে সরে এসেছি। উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের থেকে সময় চেয়েছেন।

তার সম্মানে এবং দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে উপদেষ্টা মহোদয়ের আশ্বাসের পরও যদি আমরা কোনো কার্যকরী সমাধান না পাই বা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যদি নতুন কোনো ধরনের ভিন্ন কোনো প্রহসন শুরু হয়, তাহলে আমরা আবার রাজপথে নেমে আসব। রাজপথেই তখন পরিস্থিতির ফয়সালা হবে।

ঢাবি অধিভুক্ত কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।

শিক্ষাঙ্গন

সেনবাগে আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি

আমজাদ শিবলু:  নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা  প্রতিনিধি  নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি । নতুন সাজে সজ্জিত একাডেমির নতুন ভবনের উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।   রবিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার অর্জুতলাতে একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাডেমির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৯ মে ২০২৫, ১৩:২৮

আমজাদ শিবলু:  নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা  প্রতিনিধি 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি । নতুন সাজে সজ্জিত একাডেমির নতুন ভবনের উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

রবিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার অর্জুতলাতে একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাডেমির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং টপস্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ । 

এসময় সৌরভ হোসনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এসএফ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং  নারী উদ্যোক্তা সৈয়দা সাজেদা রশীদ শেলী, সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আবদুল জব্বার, ছিলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন,

৫ নং অর্জুনতলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মির্জা সোলাইমান,  কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ইউসুফ মজুমদার সহ অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

 এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একাডেমির আধুনিকীকরণ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে লায়ন সৈয়দ হারুন  বলেন  “বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য যুগোপযোগী নানা সুবিধার সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে।

উদ্বোধনের আকর্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত সুসজ্জিত স্কুল ভবন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি স্কুল ড্রেস।  চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা প্লে থেকে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য মক্তব শিক্ষা।

শিশুদের মানসিক বিকাশে কিডস এন্টারটেইনমেন্ট ও প্লে-জোন অভিভাবকদের জন্য টিভি ও পত্রিকা সহ আরামদায়ক ওয়েটিং রুম সিসিটিভি ক্যামেরায় স্কুলের কার্যক্রমের নিরবিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ। এবং আমাদের  সিইও স্যারের জন্য নির্ধারিত সুসজ্জিত অফিস কক্ষ। 

লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ তার বক্তব্যে আরো বলেন আমাদের এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিন্দু পরিমাণ আর্থিক লাভের আশা আমরা করি না। 

প্রতিষ্ঠানের সফলতা দেখলে আমরা আত্মতৃপ্তি পাই। আমার মাঝে মাঝে খুবই ইচ্ছে করে এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে যেটা আমার স্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন” এছাড়া অন্যান্য বক্তারা বলেন এই একাডেমি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম।

এখানে আধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষারও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেনবাগের পাশাপাশি একটা সময় সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।

শিক্ষাঙ্গন

পবিপ্রবির ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট’স এসোসিয়েশন (ভিএসএ) এর দায়িত্বে তন্ময় এবং অর্জুন

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিসিপ্লিনের পেশাগত সংগঠন ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশন (ভিএসএ)-এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ই মার্চ) পবিপ্রবির এ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএনএসভিএম) অনুষদের অনুষদীয় অডিটোরিয়ামে ইফতার মাহফিল ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটিতে ভিপি হিসেবে দায়িত্ব […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৫, ২২:৪৪

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিসিপ্লিনের পেশাগত সংগঠন ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশন (ভিএসএ)-এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ই মার্চ) পবিপ্রবির এ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএনএসভিএম) অনুষদের অনুষদীয় অডিটোরিয়ামে ইফতার মাহফিল ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়।

কমিটিতে ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম তন্ময় এবং জিএস হিসেবে অর্জুন দাস। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এ কে এম মোস্তফা আনোয়ার, নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. আলী আজগর এবং প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম আহমেদ স্বাক্ষরিত কমিটিতে বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও এএনএসভিএম অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর ড. এ কে এম মোস্তফা আনোয়ার, বিদায়ী কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মিল্টন তালুকদার, প্রফেসর

ড. আলী আজগরসহ ডিভিএম ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন লেভেলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। 

নবগঠিত কমিটির জিএস অর্জুন দাস বলেন, “আমাদের সকলের উচিত ভিএসএ-এর কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা এবং একে অপরের সহযোগিতায় সংগঠনকে এগিয়ে নেওয়া।

আমি আশা করি, ভেটেরিনারি সেবাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ভিএসএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পেশার স্বার্থে ভিএসএ ও পবিপ্রবি সবসময় কাজ করে এসেছে এবং সামনেও কাজ করে যাবে।”

নবগঠিত কমিটির ভিপি মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম তন্ময় বলেন, “ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশন ডিভিএম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ছাতাস্বরূপ। নতুন কমিটির ভিপি হিসেবে আমি চাইবো সবাই এই ছাতার নিচে পেশার স্বার্থে একসাথে কাজ করি।

শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থী ভাইবোনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা আমাকে যোগ্য মনে করে এই পদে মনোনীত করেছেন। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে।”

শিক্ষাঙ্গন

কক্সবাজারে র‍্যাবিস ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে যবিপ্রবির ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক

মেহেদী হাসান, যবিপ্রবি প্রতিনিধি: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৪ দিনের (২৬—২৯ মে) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক।  যুগান্তকারী এ গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিতে ৭১.৪% কুকুরকে র‍্যাবিসের টিকা দেওয়া হয় যা র‍্যাবিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ১২:১৪

মেহেদী হাসান, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৪ দিনের (২৬—২৯ মে) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক। 

যুগান্তকারী এ গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিতে ৭১.৪% কুকুরকে র‍্যাবিসের টিকা দেওয়া হয় যা র‍্যাবিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় হার্ড ইমিউনিটির ৭০% সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।

যবিপ্রবি’র ইন্টার্ন ডাক্তার রেজাউল হাসান ফাহিম বলেন, এখানে অংশ নেওয়া ছিল একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্পে মানুষ

ও প্রাণীদের জন্য একসঙ্গে কাজ করে র‍্যাবিস নির্মূলের চেষ্টা একজন প্রাণীপ্রেমীর কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। টানা দুই দিন ঝড় বৃষ্টি থাকার পরও আমরা ৭১.৪% কুকুরকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, এটি জাতীয় পর্যায়ে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিকে পুনর্জীবিত করার এক শক্তিশালী সূচনা। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে সীমান্তজুড়ে র‍্যাবিস নিয়ন্ত্রণে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত।

উল্লেখ্য, এই টিকাদান কর্মসূচিতে প্রধান ভূমিকা রাখে অবয়ারণ্য, মিশন র‍্যাবিস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভেটেরিনারি সার্ভিস (ডব্লিউবিএস)। ডব্লিউবিএস ২০০৩ সাল থেকে প্রানীকল্যাণ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১২৬২