নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীতে হত্যা, লুট, অগ্নি সংযোগ সহ একাধিক মামলার আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার ২৬ এপ্রিল দুপুরে র্যাব-১১, নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর সদমান ইবনে আলমের স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী এর আভিযানিক দল সদর উপজেলার বেলদি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা এরশাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে রায়পুরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এরশাদ মিয়া রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের দিঘলিয়াকান্দি গ্রামের মালেক মোল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, চাদবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় দীর্ঘদিন যাবত সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আত্নগোপনে ছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে বাঁশগাড়ী বাজারের পল্লী চিকিৎসক আবদুল্লাহকে গত বছর ১ নভেম্বর রাতে এরশাদ ও তার ১০ থেকে ১২ জন সহযোগী মিলে কুপিয়ে ও এলোপাথারি কিল-ঘুষির মাধ্যমে গুরুতর আহত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু বরন করে ঐ পল্লী চিকিৎসক।
এই ঘটনার পর থেকে পালিয়ে যায় এরশাদসহ তার ১০ থেকে ১২ জন সহযোগী।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবার রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করলে আসামিদের গ্রেপ্তারে নামে র্যাব ১১। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী এর আভিযানিক দল সদর উপজেলার বেলদি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এরশাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো: আব্দুল জব্বার জানান, হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামী এরশাদ কে গ্রেফতার করে রায়পুরা থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব – ১১, নরসিংদী। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?