শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন

 শেখ ইকরামুল হক (কলারোয়া প্রতিনিধি সাতক্ষীরা): বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখা। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। এসময় অন্যান্যের […]

নিউজ ডেস্ক

২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:০৯

 শেখ ইকরামুল হক (কলারোয়া প্রতিনিধি সাতক্ষীরা):
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখা। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে  সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের  মোঃ আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী,  জেলা নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী মাহবুব আলম, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা সভাপতি ইমামুল হোসেন, শহর জামায়াতের  সেক্রেটারী খোরশেদ আলমসহ শাতাধিক গণমাধ্যম কমী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর সাতক্ষীরা বালক বিদ্যালয়  মাঠে দুপুর ২ টায় শুরু হবে সাতক্ষীরা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন। সমাবেশে  লক্ষাধীক  কর্মী অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত ৫ আগস্ট ২৪ এর ছাত্র—জনতার সফল অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে এসেছে। দেশে নানা বিষয়ে সংস্কারের মাধ্যমে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার, দেশকে কল্যাণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিগত দিনে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বারবার বিঘ্নিত হয়েছে।
দেশবাসি স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল ভোগ করতে পারেনি। বিশেষ করে গত সাড়ে ১৫ বছরে একটি ফ্যাসিবাদি সরকার জগদ্দল পাথরে মত জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিল। এসময় বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা দেলোয়ার হুসাইন সাইদীর ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসির আদেশ ও পরবর্তিতে আমৃত্যু জেল এবং কারাগারেই তার শাহাদাত বরণ, দেশব্যপী গণহত্যা, খুন, গুম, কথিত আয়নাঘরে বন্দী করে অমানবিক নির্যাতন করে পৈশাচিকতার চরম পরাকাষ্ট দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একগুয়েমী, দাম্ভিকতা ও স্বৈরাচারীভাবে দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে।
এই কালো অধ্যায়ে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের প্রায় ৩৬ জন নেতা—কর্মীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে। নয়শতাধিক মামলায় লক্ষাধিক নেতা—কর্মীকে আসামি করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে, তিন শতাধিক বাড়ি—ঘর, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। গত জুলাই—আগস্টের ছাত্র—জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট জাতি দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা লাভ করে। প্রায় দেড় যুগ পরে আমরা সাতক্ষীরার আপমর জনতার পাশাপাশি সাংবাদিক বন্ধুদের নিয়ে আপনাদের প্রিয় প্রেস ক্লাবে আসতে পেরে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি।
সুপ্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ ও সচেতন সাতক্ষীরাবাসীঃ এমতপ্রেক্ষিতে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি যে, আগামী ৩০ নভেম্বর শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহতারাম ডা. শফিকুর রহমান সাতক্ষীরা সফর করবেন। এ সফর উপলক্ষে ৩০ নভেম্বর সকাল ৯.০০ টা থেকে দুপুর ১২.০০ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজ এবং মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর ময়দানে রুকন (সদস্য) সম্মেলন এবং দুপুর ২.০০ টা থেকে ৪.০০ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন পরে এ ধরনের উন্মুক্ত সম্মেলন জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজন করতে পারায় সাতক্ষীরাবাসির মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করি, কর্মী সম্মেলনে লক্ষাধিক নেতা—কর্মীর সমাবেশ ঘটবে। এমতাবস্থায় উক্ত প্রোগ্রাম সফল বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সাতক্ষীরা পৌরসভা, সাংবাদিক বন্ধুগণ, পরিবহন সেক্টরের দায়িত্বশীল ও শ্রমিকবৃন্দ তথা সমগ্র সাতক্ষীরাবাসিকে সার্বিক সহযোগিতা করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”