যত দ্রুত সম্ভব দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সাম্প্রতিক বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তারা তাদের মূল লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছেন, যা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ার করেছেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না, বরং তা দেশের অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
রোববার বিকেলে ‘ঢাকা বার আইনজীবী ফোরাম “৩১-দফা” প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
দ্রুত নির্বাচন দিয়ে স্থিতিশীলতা ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যত দ্রুত নির্বাচন হবে, তত দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। সমস্যাগুলো সমাধান করতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করবেন। সংসদ গঠনে দেরি হলে অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, প্রায় আড়াই বছর আগে বিএনপি ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। “আমাদের অতীতের রাষ্ট্রপরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা দেখেছি স্বৈরাচার কিভাবে অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, প্রশাসন—সব কিছু ধ্বংস করেছে। এখনই যদি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হয়, তাহলে দেশকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “যখন স্বৈরাচারের চোখে চোখ রেখে কেউ সংস্কারের কথা তুলতে সাহস করত না, তখন বিএনপি এবং রাজপথে আন্দোলনের কিছু দল একসঙ্গে ৩১ দফা দিয়েছিল। আজ যারা সংস্কারের কথা বলছেন, তারা তখন কোনো উদ্যোগ নেননি। কিন্তু বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তখনই সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে।”
দেশ ও জনগণের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য ৩১ দফার বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার দাবি, “আমরা ৩১ দফা দিয়েছি, অন্তর্বর্তী সরকারের ৬টি কমিশন বিভিন্ন সুপারিশ দিয়েছে। যদি সেগুলো মিলিয়ে দেখা হয়, তাহলে দেখা যাবে কিছু পার্থক্য থাকলেও মূল বিষয়গুলোতে আমরা একমত। জনগণের স্বার্থে, দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় ৩১ দফার বাস্তবায়ন জরুরি।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?