বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “যে ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা, সাজানো, পাতানো মামলায় নিজামী, মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে; সেই ট্রাইবুনালেই মানবতাবিরোধীদের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার বিচার হবে। তবে শেখ হাসিনার আমলের ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলা আর কথিত বিচার হলেও এখন সঠিক বিচার হলেই শেখ হাসিনা শাস্তি পাবেন।”
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর অনেক আসামি মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিনা অপরাধে এখনও কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এজন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি দেশবাসীকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই, জুলুমের বিরুদ্ধে।”
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনার ফুলতলা ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় বেজেরডাঙ্গা আকিজ মাহফিল মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলন-২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফুলতলা ইউনিয়ন আমীর মাস্টার মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ও জামায়াতের খুলনা জেলার সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, ফুলতলা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলিম মোল্যা, নায়েবে আমীর মাওলানা শেখ ওবায়দুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল হাসান খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি আলী আকবর মোড়লসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির, জামায়াত নেতা আশরাফুল আলম, ছাত্রশিবির নেতা মোহাম্মদ হোসাইন, যুব বিভাগের সভাপতি মেহেদী হাসান জুলহাস মোল্লা, ছাত্রশিবির নেতা মোঃ আব্দুর রহিম খান, মো. ইরান মোল্লা, ড. আজিজুল হক, শেখ মো. আলাউদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির আহমেদ, শ্রমিক নেতা এমরান হুসাইন, এস এম নূরুল ইসলাম বাবুল গাজী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, “৫৩ বছরে দেশের মানুষ অনেক সরকারের শাসন দেখেছে। এখন দেখতে বাকী জামায়াতের শাসন। নতুন বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জামায়াত সহযোগিতা করতে চায়।” তিনি বলেন, “অনেকে আছে এখনই নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়। কিন্তু আমরা বলেছি, যেসব জায়গায় বিগত পনেরো বছরের জঞ্জাল রয়েছে, সেগুলো আগে পরিষ্কার করে, সংস্কার করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে। দেশবাসী আর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের মতো কোনো নির্বাচন দেখতে চায় না। বিগত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। এবার আর সেরকম নির্বাচন হবে না। জনগণ একটি পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়।”

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?