মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন হতে হবে -সারজিস আলম

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে প্রভাব ফেলে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে, যারা দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যদি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষতার অভাব থাকে, তবে তা দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বিশেষত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, […]

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৫৮

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে প্রভাব ফেলে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে, যারা দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যদি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষতার অভাব থাকে, তবে তা দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বিশেষত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, সংঘাত এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, একাধিক বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন হতে হবে।

এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বাধীনতা, এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনগণের পূর্ণ আস্থা সৃষ্টি করা।

এ প্রসঙ্গে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সারজিস আলম বলেছেন, “আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন হতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন যে, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়, তবে তা দেশের গণতান্ত্রিক ধারা আরও শক্তিশালী করবে।

সারজিস আলমের মতে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তারা বিশ্বাস করতে পারে যে তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রকৃত প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হচ্ছে।

সারজিস আলম আরো বলেন, যে কোনো নির্বাচনেই জনগণের অধিকার সুরক্ষিত থাকা জরুরি। নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তার মতে, একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যাতে ভোটের ফলাফলের প্রতি সকল পক্ষের আস্থা থাকে।

নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপের মধ্যে যদি কোনো ধরনের ত্রুটি বা কারচুপির সন্দেহ থাকে, তবে তা দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে প্রধান দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে যে সকল রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে নির্বিঘ্নে। সারজিস আলম এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে, তবে সেই নির্বাচন বৈধতা হারাতে পারে।

সকল রাজনৈতিক দলকে সহমত থাকতে হবে যে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হবে।

এছাড়া, সারজিস আলম আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত নির্বাচনকালীন সময়ে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ থেকে কাজ করা। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে, তবে তা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।”

সারজিস আলমের মতে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও স্থিতিশীল হবে এবং তা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করবে।

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সাহায্য করতে পারে। যখন জনগণ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির উপর আস্থা রাখতে পারে, তখন তারা সরকারের প্রতি সহযোগিতা প্রদানে উৎসাহিত হয়। নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং সরকারকে জনগণের বিশ্বাসের উপরে দাঁড়িয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

তবে, সারজিস আলম সতর্ক করেছেন যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনতা প্রদান করা এবং দলীয় পদার্থের বাইরে গিয়ে দেশব্যাপী একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা।

তিনি উল্লেখ করেন, “একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের জনগণের জন্য চিরস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারে, যা দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”

উল্লেখযোগ্য যে, সারজিস আলমের এই বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নয়, সাধারণ জনগণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, জনগণের সচেতনতা এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচনে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশের গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করবে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসের পরিসরও বাড়াবে।

অতএব, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন হতে হলে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সারজিস আলমের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা যদি এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসেন, তবে বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনকে আরও একটি মাইলফলক হিসেবে দেখতে পাবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক অর্জনকে আরও শক্তিশালী করবে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩৫৯

রাজনীতি

বিএনপি নেত্রী নিলুফার মনিকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রশিবির

য়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

নিউজ ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৩

বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনির বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঘৃণ্য অপপ্রচার আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আদালতের রায়ে প্রমাণিত সত্য হলো—বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তিনি কি পতিত ফ্যাসিস্টদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন?

শিবিরের নেতারা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে সংগঠনের ১০১ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ২০ হাজারেরও বেশি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে, সাতজন এখনো গুম রয়েছে। এই সময়ে ছাত্রলীগই ক্যাম্পাসগুলোতে দাপটের সঙ্গে খুন, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি চালিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বজিতকেও শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ভয়াবহ নজির সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ। অথচ এই সব অপরাধ অস্বীকার করে নিলুফার মনি আজ শিবিরকে দোষারোপ করছেন। এটি নিছক মিথ্যাচার নয়, বরং দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করার নগ্ন ষড়যন্ত্র।

তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ছাত্রশিবির আইনিভাবে কঠোর জবাব দেবে। দেশের মানুষ এখন খুব ভালো করেই জানে কারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে এবং কারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত করেছে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩৫৯

রাজনীতি

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের। এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।” […]

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১২

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের।

এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।”

“নুর ভাই স্পষ্ট করে বলে, জাতীয় পার্টি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আগের মতই। তখন বিগ্রেডিয়ার শামস এটার ফল ভালো হবে না বলে নুর ভাইকে থ্রেট করে।”

এর কিছুক্ষণ পরেই আজকের হামলার মূল হোতা ক্যাপ্টেইন রাকিবের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা শুরু হয়। নুর ভাই আমাদের কার্যালয়ের সামনে প্রেসব্রিফিংয়ে ছিল। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কোনপ্রকার কথা ছাড়াই নুর ভাইকে হ/ত্যা/র উদ্দেশ্যে হামলা করে।

আমাদের কার্যালয়ের ভিতরে আমাদের আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি টয়লেট ভেঙ্গেও নেতাকর্মীদের উপর হা/ম/লা করে সেনাবাহিনী।

ওয়াকারের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস কার নির্দেশে আজ নুরুল হক নুরকে হুমকি দিয়েছে? জাতীয় পার্টির এবং জিএম কাদেরকে কার স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করছে সেনাবাহিনী?

আজ নুরুল হক নুরের উপর আপাতত দৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর হামলা করলেও মূলত পতিত সরকারই এই হামলার মাস্টার মাইন্ড।

লিখে রাখুন, আজ নুরুল হক নুর! কাল হাসনাত! পরশু আরেকজন।
এভাবেই পতিত সরকার ২৪এর প্রতিশোধ নিবে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩৫৯

রাজনীতি

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে গোপন সিদ্ধান্ত বিএনপির, ১৫০ প্রার্থীকে সবুজ সংকেত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৪

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে এবং শরিকদের জন্য ৪০ আসন ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিএনপির জোটে যুক্ত হলে তাদের জন্য ৮টি আসন রাখার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

এক বছর আগে থেকেই সারাদেশে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি। প্রথমে প্রায় ৯০০ সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করে তা লন্ডনে হাইকমান্ডে পাঠানো হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই প্রার্থীদের যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভূমিকা যাচাই করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্তের গতি বাড়ায়। গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিভাগভিত্তিক মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তারেক রহমান বৈঠকে বলেন, “এই নির্বাচন বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যাকে যেখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না।”

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রার্থী নির্ধারণের বিভাগীয় বৈঠক শেষ হয়েছে, এখন মূল লক্ষ্য দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিশ্চিত করা।

বর্তমানে বিএনপি প্রায় ৪০টি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে শরিকদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। ফলে, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন তালিকা ও জোট গঠনের রূপরেখাই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১১৯১৮