রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন হতে হবে -সারজিস আলম

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে প্রভাব ফেলে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে, যারা দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যদি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষতার অভাব থাকে, তবে তা দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বিশেষত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, […]

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৫৮

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে প্রভাব ফেলে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে, যারা দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যদি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষতার অভাব থাকে, তবে তা দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বিশেষত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, সংঘাত এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, একাধিক বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন হতে হবে।

এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বাধীনতা, এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনগণের পূর্ণ আস্থা সৃষ্টি করা।

এ প্রসঙ্গে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সারজিস আলম বলেছেন, “আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন হতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন যে, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়, তবে তা দেশের গণতান্ত্রিক ধারা আরও শক্তিশালী করবে।

সারজিস আলমের মতে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তারা বিশ্বাস করতে পারে যে তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রকৃত প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হচ্ছে।

সারজিস আলম আরো বলেন, যে কোনো নির্বাচনেই জনগণের অধিকার সুরক্ষিত থাকা জরুরি। নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তার মতে, একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যাতে ভোটের ফলাফলের প্রতি সকল পক্ষের আস্থা থাকে।

নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপের মধ্যে যদি কোনো ধরনের ত্রুটি বা কারচুপির সন্দেহ থাকে, তবে তা দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে প্রধান দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে যে সকল রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে নির্বিঘ্নে। সারজিস আলম এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে, তবে সেই নির্বাচন বৈধতা হারাতে পারে।

সকল রাজনৈতিক দলকে সহমত থাকতে হবে যে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হবে।

এছাড়া, সারজিস আলম আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত নির্বাচনকালীন সময়ে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ থেকে কাজ করা। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে, তবে তা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।”

সারজিস আলমের মতে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও স্থিতিশীল হবে এবং তা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করবে।

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সাহায্য করতে পারে। যখন জনগণ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির উপর আস্থা রাখতে পারে, তখন তারা সরকারের প্রতি সহযোগিতা প্রদানে উৎসাহিত হয়। নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং সরকারকে জনগণের বিশ্বাসের উপরে দাঁড়িয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

তবে, সারজিস আলম সতর্ক করেছেন যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনতা প্রদান করা এবং দলীয় পদার্থের বাইরে গিয়ে দেশব্যাপী একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা।

তিনি উল্লেখ করেন, “একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের জনগণের জন্য চিরস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারে, যা দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”

উল্লেখযোগ্য যে, সারজিস আলমের এই বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নয়, সাধারণ জনগণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, জনগণের সচেতনতা এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচনে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশের গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করবে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসের পরিসরও বাড়াবে।

অতএব, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন হতে হলে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সারজিস আলমের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা যদি এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসেন, তবে বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনকে আরও একটি মাইলফলক হিসেবে দেখতে পাবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক অর্জনকে আরও শক্তিশালী করবে।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৪৫২

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২৪৫

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২৪৫

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২৪৫