সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনসহ দুই ইস্যুতে মাঠে নামছে বিএনপি

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য কমানো এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। প্রথম কর্মসূচি হবে দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে। সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে হবে দ্বিতীয় কর্মসূচি। দ্রুত নির্বাচনের জন্য বিএনপি যে দাবি জানিয়ে আসছিল, সে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখতে মূলত দ্বিতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৫

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য কমানো এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। প্রথম কর্মসূচি হবে দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে।

সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে হবে দ্বিতীয় কর্মসূচি। দ্রুত নির্বাচনের জন্য বিএনপি যে দাবি জানিয়ে আসছিল, সে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখতে মূলত দ্বিতীয় কর্মসূচিটি পালিত হবে।

এ দুই ইস্যুতে রোজা শুরুর আগেই ঢাকাসহ দেশব্যাপী সমাবেশ করতে চায় দলটি। শিগগিরই বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ সমাবেশের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মার্চ মাসের শুরুতে বাংলাদেশে রোজা শুরু হতে পারে।

বিএনপি গত কয়েক মাস ধরে একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব বলে মনে করছে দলটি এবং এ ব্যাপারে তাদের অবস্থানও এরই মধ্যে স্পষ্ট করেছে।

অবশ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে যে কোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। তবে বিএনপি আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়কে নির্বাচনের জন্য ‘খুবই অতিরিক্ত সময়’ বলে মনে করছে।

দলটির অভিমত, নির্বাচনের জন্য এত সময়ের দরকার নেই। বিএনপি মনে করছে, ন্যূনতম সংস্কার করে একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব এবং সেটি জুলাই-আগস্টেই সম্ভব। জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে নির্বাচনের দাবিটা মূলত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য করছে বিএনপি। দলটি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন প্রত্যাশা করছে।

জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ছাত্রদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ছাত্ররা বিএনপির কাছে ওই ঘোষণাপত্রের যে খসড়া পাঠিয়েছে, সেটা নিয়ে বিএনপি নেতারা আলোচনা করেছেন।

এ ঘোষণাপত্র প্রণয়ন নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন থাকলেও ছাত্রদের এ উদ্যোগকে সম্পূর্ণরূপে ‘ডিনাই’ করতে চায় না দলটি। সে কারণে ছাত্রদের প্রস্তাবিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগকে সম্মান জানিয়ে বাস্তবতার নিরিখে খসড়ায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পরিবর্তন আনছে বিএনপি।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, বাহাত্তরের সংবিধান যে মূলনীতির ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে, সেই মূলনীতি স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া। সে ক্ষেত্রে বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। সেখানে যদি কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন প্রয়োজন হয়, সেটা করা যেতে পারে।

তাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির ছাত্রনেতারা ঘোষণাপত্রে বাহাত্তরের সংবিধানকে বাতিল করার যে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, সেটি যুক্তিসংগত নয় বলে মনে করে বিএনপি। দলটির অভিমত, মহান মুক্তিযুদ্ধই হবে বাংলাদেশের ভিত্তি। এরপর বাংলাদেশের আরও অনেক অর্জন রয়েছে।

ঘোষণাপত্রে সেগুলোরও প্রসঙ্গ থাকবে। এ ছাড়া গণতন্ত্রের জন্য গত ১৭ বছরে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যে সংগ্রাম, ত্যাগ-ঘোষণাপত্রে সেগুলোও সংযুক্ত করবে দলটি।

জানা গেছে, ছাত্রদের প্রস্তাবিত খসড়া ঘোষণাপত্রকে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় মোডিফাই (সংশোধন) করেছে বিএনপি। আজ বুধবার জরুরিভিত্তিতে আবারও স্থায়ী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এগুলো চূড়ান্ত হবে।

এরপর সংশোধনকৃত খসড়া নিয়ে যুগপতের শরিকদেরও মতামত নেওয়া হবে। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়ন নিয়ে সরকার আলোচনায় ডাকলে ‘শরিকদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরিকৃত খসড়া’ তাদের দেবে বিএনপি।

ছাত্রদের খসড়া ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, এটি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হবে। তবে এটা এভাবে দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করে না বিএনপি। দলটির অভিমত, গণঅভ্যুত্থানের প্রায় ছয় মাস হতে চলেছে।

এখন ব্যাকডেট ধরে এটা ঘোষণা করা হাস্যকর হবে। তাই এটা প্রোক্লেমেশন নয়, গণঅভ্যুত্থানের ডিক্লারেশন হতে পারে। আর রাজনৈতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে এটা ঘোষণা করা হবে; সেক্ষেত্রে কোনো ব্যাকডেটের প্রয়োজন নেই।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩২৯

রাজনীতি

বিএনপি নেত্রী নিলুফার মনিকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রশিবির

য়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

নিউজ ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৩

বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনির বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঘৃণ্য অপপ্রচার আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আদালতের রায়ে প্রমাণিত সত্য হলো—বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তিনি কি পতিত ফ্যাসিস্টদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন?

শিবিরের নেতারা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে সংগঠনের ১০১ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ২০ হাজারেরও বেশি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে, সাতজন এখনো গুম রয়েছে। এই সময়ে ছাত্রলীগই ক্যাম্পাসগুলোতে দাপটের সঙ্গে খুন, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি চালিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বজিতকেও শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ভয়াবহ নজির সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ। অথচ এই সব অপরাধ অস্বীকার করে নিলুফার মনি আজ শিবিরকে দোষারোপ করছেন। এটি নিছক মিথ্যাচার নয়, বরং দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করার নগ্ন ষড়যন্ত্র।

তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ছাত্রশিবির আইনিভাবে কঠোর জবাব দেবে। দেশের মানুষ এখন খুব ভালো করেই জানে কারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে এবং কারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত করেছে।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১১৮৭৩

রাজনীতি

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের। এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।” […]

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১২

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের।

এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।”

“নুর ভাই স্পষ্ট করে বলে, জাতীয় পার্টি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আগের মতই। তখন বিগ্রেডিয়ার শামস এটার ফল ভালো হবে না বলে নুর ভাইকে থ্রেট করে।”

এর কিছুক্ষণ পরেই আজকের হামলার মূল হোতা ক্যাপ্টেইন রাকিবের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা শুরু হয়। নুর ভাই আমাদের কার্যালয়ের সামনে প্রেসব্রিফিংয়ে ছিল। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কোনপ্রকার কথা ছাড়াই নুর ভাইকে হ/ত্যা/র উদ্দেশ্যে হামলা করে।

আমাদের কার্যালয়ের ভিতরে আমাদের আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি টয়লেট ভেঙ্গেও নেতাকর্মীদের উপর হা/ম/লা করে সেনাবাহিনী।

ওয়াকারের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস কার নির্দেশে আজ নুরুল হক নুরকে হুমকি দিয়েছে? জাতীয় পার্টির এবং জিএম কাদেরকে কার স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করছে সেনাবাহিনী?

আজ নুরুল হক নুরের উপর আপাতত দৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর হামলা করলেও মূলত পতিত সরকারই এই হামলার মাস্টার মাইন্ড।

লিখে রাখুন, আজ নুরুল হক নুর! কাল হাসনাত! পরশু আরেকজন।
এভাবেই পতিত সরকার ২৪এর প্রতিশোধ নিবে।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১১৮৭৩

রাজনীতি

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে গোপন সিদ্ধান্ত বিএনপির, ১৫০ প্রার্থীকে সবুজ সংকেত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৪

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে এবং শরিকদের জন্য ৪০ আসন ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিএনপির জোটে যুক্ত হলে তাদের জন্য ৮টি আসন রাখার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

এক বছর আগে থেকেই সারাদেশে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি। প্রথমে প্রায় ৯০০ সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করে তা লন্ডনে হাইকমান্ডে পাঠানো হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই প্রার্থীদের যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভূমিকা যাচাই করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্তের গতি বাড়ায়। গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিভাগভিত্তিক মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তারেক রহমান বৈঠকে বলেন, “এই নির্বাচন বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যাকে যেখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না।”

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রার্থী নির্ধারণের বিভাগীয় বৈঠক শেষ হয়েছে, এখন মূল লক্ষ্য দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিশ্চিত করা।

বর্তমানে বিএনপি প্রায় ৪০টি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে শরিকদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। ফলে, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন তালিকা ও জোট গঠনের রূপরেখাই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩২৯