মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

বিপদে নেতা-কর্মীরা থাকলেও নিরাপদে হাসিনা সহ তার স্বজনরা

আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের প্রায় সবাই হামলা-মামলায় জর্জরিত হলেও নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট-স্বজনরা। এরা গত সাড়ে ১৫ বছরে সরকারের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র হওয়া ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্যসহ সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছিলেন। এর মধ্যে মন্ত্রী ও সমপদমর্যাদায় ছিলেন চারজন। এমপি হয়েছেন অন্তত ১০ জন। […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৩

আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের প্রায় সবাই হামলা-মামলায় জর্জরিত হলেও নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট-স্বজনরা। এরা গত সাড়ে ১৫ বছরে সরকারের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র হওয়া ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্যসহ সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছিলেন।

এর মধ্যে মন্ত্রী ও সমপদমর্যাদায় ছিলেন চারজন। এমপি হয়েছেন অন্তত ১০ জন। দুই সিটিতে মেয়র হয়েছেন তিনজন। সহযোগী সংগঠনের প্রধান হয়েছেন একজন। বৈধ ও অবৈধভাবে সর্বোচ্চ সুবিধায় ছিলেন তারা। অথচ পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা সবাই আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। একমাত্র শেখ পরিবারের সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ খোকা গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বাকিদের অবস্থান কেউ নিশ্চিত করতে পারছেন না। ৫ আগস্টের পর গ্রেপ্তারের চিত্রগুলো বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের তালিকা দিয়েছিলেন। তাঁর বোন ও তাঁদের ছেলেমেয়ে ছাড়া কোনো আত্মীয় নেই বলে দাবি করেছিলেন। পরিবারের সদস্য ছাড়াও তাঁর নিকটাত্মীয় রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলেছেন। শাসন ও শোষণ করেছেন। নিয়ন্ত্রণ করেছেন রাষ্ট্রক্ষমতার সবকিছু।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমার কিছু আত্মীয়-স্বজন ঝড়ের পূর্বাভাস আগাম পেয়ে যান। তখন তারা দেশ ছাড়েন। আবার সুসময় হলেই দেশে ফিরে এসে হাজির হন’।

ওই বৈঠকে পাবর্ত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়কের (মন্ত্রীর পদমর্যাদায়) দায়িত্ব পাওয়া আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ শেখ হাসিনার ডান পাশে বসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকালে আবদুল্লাহকে চোখ-মুখে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা যায় বলে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক এক মন্ত্রী।

শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার দুই ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম। শেখ পরিবারের প্রভাব খাটিয়ে শেখ ফজলে ফাহিম বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে শেখ সেলিমের পরিবার আত্মগোপনে আছে।

ধারণা করা হচ্ছে, সরকার পতনের আগেই তারা দেশ ছাড়েন। শেখ সেলিমের ভাই শেখ ফজলুল হক মণির দুই সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপস। শেখ পরশও দেশ ছেড়েছেন বলে জানা যায়। এখন বিদেশে নিরাপদ জীবন-যাপন করছেন। শেখ সেলিমের ছোট ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফ ক্যাসিনো বিতর্কের সময় আলোচনায় এসেছিলেন।

তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ভগনিপতি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীও আত্মগোপনে আছেন। শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ আসনের এমপি ছিলেন। তার ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় এই পরিবার ছিল বরিশাল অঞ্চলের হর্তাকর্তা।

৫ আগস্টের পরে হাসানাত আবদুল্লাহ ও ছোট ছেলে সুকান্ত আবদুল্লাহ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তবে সাদিক আবদুল্লাহ কোথায় আছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার ছোট ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। তিনি কোথায় আছেন জানা যাচ্ছে না। জানা গেছে, হাসানাত আবদুল্লাহ ভারতে আছেন তার মেয়ে আঞ্জুমানারা কান্তা আবদুল্লাহর কাছে। কান্তা একজন ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করেন।

শেখ হাসিনার ফুফাতো বোন শেখ ফাতেমা বেগমের এক ছেলে নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ছিলেন। আরেক ছেলে মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ফরিদপুর-৪ আসন থেকে টানা তিনবারের স্বতন্ত্র এমপি ছিলেন।

৫ আগস্টের পর থেকে এই দুই ভাইও আত্মগোপনে। শেখ হেলালের ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলকে সরকার পতনের পর টুঙ্গিপাড়ায় দেখা গেছে। তবে সর্বশেষ তার অবস্থান নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা, তিনি কি দেশেই আছেন না বিদেশে গেছেন।

আওয়ামী সরকারের অন্যতম সুবিধাভোগীদের একজন ঢাকা ওয়াসার সাবেক বিতর্কিত এমডি তাকসিম এ খান। তিনি শেখ হাসিনার ফুপা ইলিয়াস চৌধুরীর ভগনিপতি। সেদিক থেকে তিনি শেখ হাসিনার ফুপা হন। তিনি ৫ আগস্টের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে আলোচনা আছে।

শেখ পরিবারের আরেক প্রভাবশালী সদস্য বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি ও বাংলাদেশ বিমা সমিতির সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা কেউই বলতে পারছেন না।

আরেক চাচাতো ভাই শেখ হাফিজুর রহমান বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব। ৫ আগস্টের পর তাদের কোথাও দেখা যায়নি। এ ছাড়া শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। গত চার মেয়াদে আওয়ামী লীগের অন্যতম ক্ষমতার বলয় গড়ে উঠেছিল তাকে কেন্দ্র করে।

তিনি সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন ব্যবহার করে দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। ৫ আগস্টের পর থেকে তারিক আহমেদ আত্মগোপনে আছেন।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ৬৫৭

রাজনীতি

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টাকে দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান পিনাকীর

উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রের সকল স্থাপনা থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো ও গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন বিদেশে অবস্থানরত লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। পোস্টে তিনি বলেন, গতকাল বুধবার বিকাল থেকে নাটকীয়ভাবে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে আজ মন্ত্রিপরিষদ সভায় দুটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা খুবই […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২:১৪

উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রের সকল স্থাপনা থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো ও গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন বিদেশে অবস্থানরত লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

পোস্টে তিনি বলেন, গতকাল বুধবার বিকাল থেকে নাটকীয়ভাবে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে আজ মন্ত্রিপরিষদ সভায় দুটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা খুবই জরুরি। প্রথমত, দেশ ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ সরকারের সকল স্থাপনা থেকে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের প্রতীক শেখ মুজিবের ছবি এবং যেকোনো ধরনের চিহ্ন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে।

দ্বিতীয়ত; ভুক্তভোগী এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সেঙ্গে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং র‍্যাব পরিচালিত গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের অবিচল সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সেগুলোতে যাওয়ার তারিখ ও সময় ঠিক করে- তা আজ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলে দিতে হবে।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ৬৫৭

রাজনীতি

৩২-এর ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে ক্রোধে উন্মাদ শেখ হাসিনা : আওয়ামী নেতা

বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এক আওয়ামী সিনিয়র নেতার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আজ মঙ্গলবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত আনুমানিক ৩ টায় জুলাকার নাইন সায়ের এই পোসস্ট করেন। পোস্টে সায়ের উল্লেখ করেন,আওয়ামী লীগের বেশ সিনিয়র একজন নেতার সাথে কথা বললাম, তিনি যা বললেন তার সারমর্ম হলো,”ধানমন্ডি ৩২ […]

নিউজ ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:১৪

বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এক আওয়ামী সিনিয়র নেতার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

আজ মঙ্গলবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত আনুমানিক ৩ টায় জুলাকার নাইন সায়ের এই পোসস্ট করেন।

পোস্টে সায়ের উল্লেখ করেন,আওয়ামী লীগের বেশ সিনিয়র একজন নেতার সাথে কথা বললাম, তিনি যা বললেন তার সারমর্ম হলো,”ধানমন্ডি ৩২ এ আক্রমণ হওয়ার আগ পর্যন্ত হাসিনা ও তার বোন রাজনৈতিক ভাবে বেশ নিষ্ক্রিয় ছিলেন, কিন্তু ভবনটি ধ্বংসের পর সম্প্রতি তারা বেশ সক্রিয় হয়েছেন, হাসিনা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে ক্রোধে উন্মাদ প্রায়।

তিনি তাঁর পোস্টে আরো উল্লেখ করেন, কিন্তু দেশে কোন নেতা না থাকায় কর্মীদের সংগঠিত করার মতো অবস্থা নেই। আর যেসব নেতা এখনো দেশে লুকিয়ে আছেন তারা এক প্রকারের আতংকে আছেন।

এই সিনিয়র নেতা উল্লেখ করেন; যেসকল নেতা-নেত্রী বিদেশে পালিয়ে গেছেন তারা দলের কাউকে না জানিয়ে, শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়ায় বেশ ক্ষুদ্ধ, অনেকেই বলেছেন তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে।

বিদেশে অবস্থানরত এ সকল নেতাদের একটা বড় অংশ বেশ অর্থ সংকটে আছেন বলেও তিনি জানান, কারণ এভাবে চলে যাওয়ার কারণে তারা কেউই তেমন টাকা পয়সা সাথে করে নিতে পারেননি। কারোই কোন প্রস্তুতি ছিলোনা। আর বেশিরভাগই সম্পদ গড়েছেন অন্যের নামে।

যা আদায় করতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি আমির হোসেন আমু এবং নসরুল হামিদ বিপু’র কথা বলেন। তিনি দাবি করেন আমু’র সবই অন‍্যের নামে করা, আর বিপু’র দুবাইতে করা সব বিনিয়োগ রাজিব সামদানির মাধ‍্যমে হয়েছে, যা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামদানি আর ফেরত দিচ্ছেন না।

বিপু ও তার স্ত্রী এই মুহূর্ত ভারতে অবস্থান করছে বলেও তিনি জানান, তিনি আরো বলেন নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতে আছেন, ফজলে তাপস আছেন সিংগাপুর আর বাদ বাকীরা দুবাই-কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ‍্য, কয়েকজন অস্ট্রেলিয়াতে।

বর্ডার পার হয়ে নিরাপদে কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মাথাপিছু ২০লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করছেন বলেও তিনি জানান”।

সায়ের অবশ্য তাঁর পোস্টে আওয়ামী লীগের সেই সিনিয়র নেতার নাম উল্লেখ করেন নি।

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

মোট ভোট: ৩১০

রাজনীতি

৬ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপানের এনএইচকে টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে হোক তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনোভাবেই চান না। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র দিবসে এই নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১০

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপানের এনএইচকে টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে হোক তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনোভাবেই চান না।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র দিবসে এই নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। পতিত আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় বিএনপি ও জামায়াত এখন একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে। বিপ্লবী ছাত্ররাও নতুন দল গঠনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এ মাসের শেষের দিকে এই দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। দুই ছাত্র উপদেষ্টা এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করবেন বলে শোনা গিয়েছিল। তবে তারা কিছুটা সময় নিচ্ছেন।

সূত্র জানিয়েছে, নতুন দলের আহ্বায়ক হতে যাচ্ছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ লক্ষ্যে তিনি দল গঠনের আগে পদত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ৩০০ আসনে জয়লাভের জন্যই মরিয়া। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবগুলো আসনেই নির্বাচন করেছে এবং কয়েক দফা সরকার গঠন করেছে। আবার প্রধান বিরোধী দল হিসেবেও সংসদে ভূমিকা রেখেছে।

এবার ৩০০ আসনে ভোট করার জন্য তারা দল গোছানোর কাজ শেষ করে এনেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে পুরোপুরি তৈরি করার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীও সব আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে তারা ৭৯ আসনে প্রার্থীর নামও ঘোষণা করে দিয়েছে। সংগঠনের আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রতিদিন বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। জামায়াত ছাত্রদের নতুন দল ও অন্যান্য ইসলামী দলের সঙ্গেও জোট করে নির্বাচন জয়ের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ৬৫৭