শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম আজতক বাংলা। তাদের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছিল, যা সরকারের বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রের নানা দিক উন্মোচন করে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পেছনে দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক মহলে একাধিক শক্তি সক্রিয় ছিল। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই ষড়যন্ত্রে বিএনপি, জামায়াত, কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মধ্যেও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও মন্ত্রী সম্পৃক্ত ছিলেন।
বিশেষ করে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের নাম এই ষড়যন্ত্রের তালিকায় উঠে এসেছে।
গণমাধ্যমের এই প্রতিবেদন নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের অভিযোগ বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সরকারের পতনের কারণ খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে।
গোয়েন্দা রিপোর্টে বিশেষ করে আন্দোলন চলাকালে তাদের সন্দেহজনক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যে কারণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাও এই চক্রান্তের বিষয়ে অবগত ছিল এবং তাদের কাছ থেকেও কিছু তথ্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে পৌঁছেছিল।
বিশেষ করে গত জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত চলছিল এবং তা আগস্ট মাসে এক বিস্ফোরক পরিণতি নিয়ে সামনে আসে।
এখনো পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট চক্রান্তের বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি, তবে যে সমস্ত তথ্য এবং যোগাযোগ বেরিয়ে এসেছে, তা আরও বেশ কিছু প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। সেই জল্পনায় আজতক বাংলা’র রিপোর্টে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?