সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেননি, বরং তারা নির্মমভাবে খুন হয়েছেন বলে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করেছে তদন্ত টাস্কফোর্স। সম্প্রতি হাইকোর্টে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুইজন অপরিচিত ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন, তবে ডিএনএ পরীক্ষায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাসায় ঢোকার কোনো আলামত না থাকলেও রান্নাঘরের জানালার পাশে সাড়ে ১৪ ও সাড়ে ৮ ইঞ্চির দুটি ভাঙা অংশ ছিল, যার মাধ্যমে কেউ ভিতরে প্রবেশ করে থাকতে পারে। ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় চারজনের ডিএনএ, যার মধ্যে দুইটি সাগর-রুনির। বাকি দুইটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির। নমুনায় পাঁচ থেকে ছয়জনের ডিএনএ থাকায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
টাস্কফোর্স জানায়, হত্যাকাণ্ডের মোটিভ হিসেবে দাম্পত্য কলহ, পেশাগত বিরোধ কিংবা চুরির তথ্য পাওয়া যায়নি। সাগর-রুনিকে রান্নাঘরে থাকা বটি ও ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। সাগরের হাত-পা বাঁধা ছিল, ধারণা করা হচ্ছে তিনি বাধা দিতে পারেন বলে এমনটি করা হয়। রুনির ক্ষেত্রে তা প্রয়োজন হয়নি।
হত্যার সময় দম্পতির শিশু সন্তান মেঘ একই খাটে শুয়ে ছিল। ভিসেরা রিপোর্টে কোনো বিষ বা চেতনানাশক প্রমাণ মেলেনি। ‘ব্লাড পেটার্ন’ বিশ্লেষণে জানা যায়, আগে মারা যান রুনি, পরে সাগর।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির এই চাঞ্চল্যকর হত্যার পর রুনির ভাই মামলা করেন। টাস্কফোর্স নতুন করে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, কিন্তু খুনিদের সুনির্দিষ্ট পরিচয় বা হত্যার পেছনের কারণ এখনো অজানা।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?