১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় পাকিস্তানসহ রাজাকার, আল বদর, আল শামসের পাশাপাশি ভারতেরও হাত আছে। আজ শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
আলোচনা সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের দ্বারপ্রান্তে এসে আমাদের সূর্যসন্তানদের হত্যা করা হয়। আমরা বলি, যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসেও আমরা তাদের তালিকা করতে পারিনি। অসংখ্য বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছেন, আমরা তাদের তালিকাও করতে পারিনি। আমাদের সূর্যসন্তানদের কারা হত্যা করল তাও বের করতে পারিনি। আমাদের দায় আমরা মাথায় নিয়ে বলছি, যারা দেশ স্বাধীনের পর নেতৃত্বে এসেছিল এ দায় সবচেয়ে বেশি তাদের।
তিনি আরও বলেন, এ দেশ স্বাধীন করেছিল আপামর জনতা, আর ক্রেডিট নিল একজন ব্যক্তি। বৈষম্য তো সেই একাত্তরেই শুরু হয়েছিল। আমাদের সত্যিকার অর্থে এই দেশকে ভালোবাসতে হবে। এই দেশের কতিপয় লোক ভারতীয় স্লোগান দিলে খুশি হয়, আবার এক শ্রেণির লোক পাকিস্তানের নাম করলে খুশি হয়। কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে যারা ধারণ করে তারাই এ দেশকে সত্যিকারের ভালোবাসে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. মো. নাসির উদ্দীন ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. নাসির আহমেদ। আরও বক্তব্য দেন জবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল আরেফিন। এ সময় শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?