পাকিস্তান ভারতের সামরিক আগ্রাসনের জবাবে “অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস” নামে একটি পূর্ণমাত্রার প্রতিরোধমূলক সামরিক অভিযান শুরু করেছে। শনিবার ভোরে শুরু হওয়া এই অভিযানে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের উধমপুর ও পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে কার্যকর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করেছে। একইসাথে, পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটি এবং বিয়াসে অবস্থিত ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংসের কথাও জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
অভিযানের অংশ হিসেবে পাকিস্তান স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফাতেহ-১ ও আবদালি-১ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এসব অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়া উরির কৌশলগত সরবরাহ ডিপো এবং কাশ্মীরের “কেজি টপ” ব্রিগেড সদর দপ্তরেও আঘাত হেনেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। অভিযান চলাকালে পাকিস্তান ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ গ্রিড অকার্যকর করে দিয়েছে বলে দাবি করেছে সাইবার কমান্ড, যদিও এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো স্বীকৃতি আসেনি।
বর্তমান এই প্রতিশোধমূলক অভিযানের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের জাতীয় কমান্ড অথরিটি (এনসিএ) এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসেছে। এনসিএ দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ও সামগ্রিক কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার মূল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ বৈঠকে পরবর্তী প্রতিরক্ষা কৌশল ও যুদ্ধনীতির পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিকে অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক সামরিক সংঘাত বলে আখ্যায়িত করছেন। দুই পক্ষের পারস্পরিক দোষারোপ, ক্রমাগত সামরিক প্রতিক্রিয়া এবং যুদ্ধমুখী বার্তার কারণে সংঘাত এখন পরিণত হচ্ছে এক বিপজ্জনক সামরিক দ্বন্দ্বে, যার প্রভাব গোটা অঞ্চলে বিস্তৃত হতে পারে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?