ভারত-পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দেশের জাতীয় কমান্ড কর্তৃপক্ষের (এনসিএ) জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত নিরাপত্তা বিষয়ক এই কমিটির বৈঠক ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা অঙ্গনে।
পাকিস্তানের সামরিক কৌশল ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এনসিএ-এর এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। কমিটির সদস্য হিসেবে এতে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সামগ্রী মন্ত্রী, জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান, তিন বাহিনীর প্রধান এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশনের মহাপরিচালক। এই স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশন (এসপিডি) পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে একের পর এক হামলা ও পাল্টা হামলার মধ্যে এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এনসিএ বৈঠকের মাধ্যমে পাকিস্তান হয়তো নতুন কৌশল নির্ধারণে যাচ্ছে, যার প্রেক্ষাপটে সংঘাত আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার এই টানটান পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শনিবার সকালে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, মার্কো রুবিও দুই পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতে সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহায়তার প্রস্তাব দেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তরফ থেকেও ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এই ফোনালাপকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার মাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে অবিলম্বে কূটনৈতিক সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির জন্য চাপও বাড়ছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?