ভারতের কাপুরুষোচিত বিমান হামলায় নিরীহ প্রাণ ঝরার প্রতিশোধ এক বিন্দু রক্তও ফেলে না রেখে নেওয়া হবে—পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের এই অঙ্গীকার এখন শুধু একটি প্রতিক্রিয়া নয়, যুদ্ধঘোষণার সমতুল্য এক হুঙ্কার। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি জোর গলায় বলেন—শত্রুকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান কেবল প্রতিরক্ষা জানে না, পাল্টা আঘাত হানতে কীভাবে ঝড় তোলে তাও জানে।
শেহবাজ স্পষ্ট করে দেন, নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের ওপর যেসব হামলা চালানো হয়েছে, তা শত্রুর পেছন থেকে ছুরি মারার মতো কাপুরুষোচিত আচরণ। কিন্তু পাকিস্তান সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন,
‘পাকিস্তান বিমান বাহিনী এমন ঝড় তুলেছে আকাশে, যে ভারতীয় বাহিনীর অহংকারের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধুলোয় মিশে গেছে।’
মাত্র কয়েক ঘণ্টার পাল্টা অভিযানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শত্রুর পেশি ভেঙে দিয়েছে—এমন দাবি করে তিনি বলেন, ভারতের মতো আগ্রাসী রাষ্ট্রকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ত দিয়ে রক্ষা করা হবে। তিনি বলেন,
‘আমরা ইরতাজা আব্বাস নামের সাত বছরের এক শহীদের জানাজা পড়েছি, আর ভারতের প্রতিটি অপকর্মের হিসাব নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ভারতের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেহবাজ বলেন—পাকিস্তান কোনওদিন আক্রমণকারীর কাছে মাথানত করবে না। বরং এই দেশ জানে কীভাবে শত্রুর অঙ্গুলি মুড়াতে হয়। ভারত ভুলে গেছে, এটি সেই জাতি, যারা তাদের মাতৃভূমির জন্য মৃত্যু বরণ করতেও কুণ্ঠিত হয় না।
তিনি আরও বলেন, প্রচলিত যুদ্ধে পাকিস্তান আবারও প্রমাণ করেছে তার সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব। তিন বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন—এই জাতি গর্ব করে তাদের বীরত্ব, দেশপ্রেম এবং আত্মত্যাগের জন্য। পাকিস্তান জানে, প্রতিরোধ কেবল অস্ত্রে হয় না—হয় সাহসে, হয় রক্ত দিয়ে। আর সেই সাহস দেখিয়েছে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?