কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ফের চরমে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা, পারস্পরিক অভিযোগ এবং একতরফা চুক্তি স্থগিত করার মধ্য দিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠছে।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটি চেনাব নদীর ওপর নির্মিত বাগলিহার বাঁধ থেকে পাকিস্তানে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
এ পদক্ষেপের পাশাপাশি কিশনগঙ্গা বাঁধের পানির প্রবাহও বন্ধের পরিকল্পনা করছে দিল্লি। ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত ঘোষণা করে ২৩ এপ্রিল। এর পরদিনই পাকিস্তান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, তারা ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি স্থগিত করতে পারে এবং ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিতে পারে।
ভারতের অভিযোগ, পহেলগাঁও হামলার পেছনে সীমান্ত পারের পাকিস্তানি গোষ্ঠীগুলোর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, যদিও এখনো কোনো দৃঢ় প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। অন্যদিকে, পাকিস্তান এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঘটনার স্বাধীন তদন্ত দাবি করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, পানির প্রবাহ বন্ধ এবং চুক্তি স্থগিতের মতো পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় কেবল কূটনৈতিক চাপই নয়, সামরিক উত্তেজনাও বাড়িয়ে তুলছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতিফলন, যা শুধু দ্বিপক্ষীয় নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?