ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একাধিক ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানের অগ্রসর হওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত যখন সীমান্তে যুদ্ধমুখী মনোভাব দেখাতে থাকে, পাকিস্তান তখন কৌশলীভাবে শান্তির বার্তা দিলেও একইসঙ্গে কার্যকর প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটেছে ২৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল রাতের মধ্যে। ভারতের চারটি রাফাল বিমান হরিয়ানার অম্বালা ঘাঁটি থেকে উড়ে পাকিস্তানের দিকে অগ্রসর হয়।
তারা অত্যাধুনিক ‘স্পাইস ২০০০’ ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত ছিল, যার ২০০ কিমি পর্যন্ত আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে। যদিও বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি, তাদের এই অবস্থানকেই শত্রুতামূলক মনে করে পাকিস্তান।
তখন পাকিস্তান বিমান বাহিনী তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ভারতীয় বিমানগুলোর যোগাযোগ ও রাডার ব্যবস্থা জ্যাম করে দেয়। এতে রাফালগুলো পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে এবং পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করতে না পেরে শ্রীনগরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
একই সময়ে পাকিস্তান তাদের জে-১০সি বিমান আকাশে পাঠায়, যেগুলো ছিল ২৩০ কিমি পাল্লার পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত। ফলে পাকিস্তান নিজের আকাশসীমা ছাড়াই ভারতীয় রাফাল লক্ষ্য করার সক্ষমতা রাখে। এই ঘটনার পর, পাকিস্তান ৪০-৫০টি বিমান আকাশে পাঠিয়ে সীমান্তে দৃঢ় প্রতিরক্ষার বার্তা দেয়, যা ভারতকে তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য করে।
২০১৯ সালে পাইলট অভিনন্দনের আটক হওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তির মতো এই ঘটনাও প্রমাণ করে, আধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও কার্যকর ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে থাকলে সফলতা পাওয়া কঠিন। এবার রাফালের মতো উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেও ভারত ব্যর্থ হয়েছে।
এই পরিস্থিতি আবারও দেখিয়ে দিল, সাইবার, মহাকাশ ও জ্যামিং প্রযুক্তির মতো মাল্টি-ডোমেইন কৌশলে পাকিস্তান একধাপ এগিয়ে রয়েছে। পাকিস্তান প্রমাণ করেছে, শুধু আধুনিক যুদ্ধবিমান নয়, কৌশল ও প্রস্তুতিই আসল শক্তি।
এই ঘটনার পর দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপই স্পর্শকাতর এবং তাৎপর্যপূর্ণ।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?