ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত পাকিস্তানি বিমান, সামরিক ও বেসামরিক উভয় ধরনের, তাদের আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ।
পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে । এই পদক্ষেপের ফলে উভয় দেশের মধ্যে বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর রুট পরিবর্তন করতে হচ্ছে, যা সময় ও খরচ বৃদ্ধি করছে ।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন,
তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক হামলা চালাতে পারে। তিনি বলেন, পাকিস্তান যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে ।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ফোনালাপে কথা বলেছেন এবং উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলার পর থেকে উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ভিসা বাতিল, বাণিজ্য স্থগিত এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস। এই পদক্ষেপগুলো দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?