পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের ১৩০টিরও বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র এমনি এমনি সাজিয়ে রাখা হয়নি, এগুলো ভারতের বুকে আঘাত হানার জন্যই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শনিবার ভারতের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, “এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তোমাদের বুক চিরে যেতে তৈরি।”
কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার পর ভারত যখন যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে, পাকিস্তান তখন এক বিন্দুও পিছিয়ে নেই। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্ব এক ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে—পাকিস্তান প্রয়োজনে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়বে, ভারতের অহংকারকে ধূলিসাৎ করবে। ভারতের মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তান তার সামরিক শক্তি শুধু কাগজে-কলমে নয়, মাঠে ময়দানে প্রয়োগের জন্যই ধরে রেখেছে।
কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা চলছে, সেটি আর কোনো কূটনৈতিক কথাবার্তায় সীমাবদ্ধ নেই। ভারত যখন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর ছড়িয়েছে, পাকিস্তান তখন পাল্টা যুদ্ধঘোষণা না দিলেও তাদের প্রস্তুতি এবং মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছে—এ লড়াই শুরু হলে জয়-পরাজয়ের হিসাব ভারতের জন্য খুবই দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে।
ইতিহাস সাক্ষী, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান তিন তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করলেও বাস্তবতা হলো, পাকিস্তান প্রতিবার ভারতীয় দম্ভকে রক্তাক্ত করেছে। আজও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় দিল্লিতে আতঙ্ক আর ইসলামাবাদে দৃঢ় সংকল্প জেগে উঠেছে।
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই জানে, এবারের সংঘাত আর অতীতের মতো সীমিত থাকবে না। পাকিস্তানের মাটিতে আজ যে আগুন জ্বলছে, তা নিভবে না ভারতের দাম্ভিকতা চূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত। জাতিসংঘ আর অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সংযমের আহ্বান জানালেও পাকিস্তানের তরফে স্পষ্ট ইঙ্গিত—শান্তির কথা তখনই হবে, যখন ভারতের উগ্র আগ্রাসন থামবে এবং কাশ্মীরের ওপর জুলুমের শেষ হবে।
পাকিস্তান আজ প্রস্তুত। এক ধাক্কায় ভারতের দম্ভকে চুরমার করে দেওয়ার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন, তা তাদের হাতে আছে। যুদ্ধ বাধলে ভারতকে যে মূল্য দিতে হবে, তা কল্পনার বাইরে—এ হুঁশিয়ারি এখন খালি কথায় সীমাবদ্ধ নেই। ভারতের যদি বিন্দুমাত্র বুদ্ধি থাকে, তবে এখনও সময় আছে—পাকিস্তানের শান্তির হাতকে সম্মান জানিয়ে আগ্রাসনের পথে পা বাড়ানো বন্ধ করুক।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?