মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছিলেন। ভারতের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর বিষয়ে সরব হলেও এবার তিনি নিজ চোখেই প্রত্যক্ষ করলেন উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সংখ্যালঘু নিপীড়নের ভয়াবহ রূপ। ভারতের রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা অবস্থায় মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চাক্ষুষ সাক্ষী হলেন তিনি।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিতে উগ্রবাদী কার্যক্রম, পুষ্পস্তলিকা পোড়ানো, অগ্নিকাণ্ড, ভাঙচুর ও মুসলমানদের ওপর নির্মম হামলার ঘটনার পর সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এখন কি তুলসী গ্যাবার্ড এসব বর্বরতা নিয়ে কথা বলবেন? নাকি তিনি এখনও ইসলাম বিদ্বেষী কসাই নরেন্দ্র মোদির হয়ে গলা ফাটাবেন?
এটাই প্রথম নয়, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নেক্কারজনক হামলার ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলেছে। সম্প্রতি হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের মসজিদের সামনে আক্রমণ করা হয়েছে। এমনকি মোদির বিশ্বাসভাজন পুলিশ কর্মকর্তা সরাসরি জুমার নামাজে বাধা দিয়েছেন। পবিত্র রমজান মাসে মুসলিমদের উপাসনালয় মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয়েছে ত্রিপল দিয়ে, যাতে হিন্দুত্ববাদীদের উৎসবে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে! এটাই সেই ভারত, যেখানে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে নির্মিত হয়েছে রাম মন্দির এবং মোদির শাসনামলে অনেক মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তুলসী গ্যাবার্ডকে দিয়ে ভারত তার স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালানোর পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ভারত। মোদি ট্রাম্প প্রশাসনকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সফল না হয়ে এবার মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু এবার গ্যাবার্ড নিজেই ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সহিংসতার ভয়াবহতা খুব কাছ থেকে দেখলেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি এবারও চুপ থাকবেন? নাকি ভারতে মুসলমানদের ওপর চালানো ভয়াবহ নিপীড়নের বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন?

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?