থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার (১৪ আগস্ট) তাকে অপসারণ করেছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
গত বছরের আগস্টে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার দল ফেউ থাই পার্টির নেতা স্রেথা থাভিসিন।
স্রেথা মূলত একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। গত বছরের নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে রাজনীতিতে আসেন তিনি।
সম্প্রতি স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তার কর্মকাণ্ড সংবিধানের নৈতিক আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধিবিধানের সঙ্গে সামঞ্জশ্যপূর্ণ নয়। সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই সাংবিধানিক আদালত তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত দিলেন।
তবে যে মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি আদালত। শুধু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন একজন জেলখাটা আইনজীবীকে সরকারের দায়িত্বে নিয়োগ করে নৈতিকতা ভঙ্গ করেছেন।
আদালতের ৯ বিচারকের মধ্যে পাঁচজন থাভিসিনকে সরিয়ে দেয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন পূর্ববর্তী জান্তা সরকারঘেষা সাবেক সিনেটরদের একটি গ্রুপ।
এই একই আদালত গত সপ্তাহে দেশটির জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে (এমএফপি) নিষিদ্ধ করে দেয়। এছাড়া দলটির নেতাদের রাজনীতি থেকে ১০ বছর নিষিদ্ধও করা হয়। দলটি গত বছরের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি (১৫২টি) আসনে জয় পায়। এরপরও সরকার গড়তে পারেনি তারা।
স্রেথাকে অপসারণ করার পর এখন নতুন করে সরকার গঠন করতে হবে। ক্ষমতাসীন ফিউ থাইয়ের নেতৃত্বাধীন জোট ফের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রার্থী দেবে। যিনি সংসদের ৫০০ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হবেন।