বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ও বাউফল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, নামাজ পড়া ও ঘুষ না খাওয়ার জন্য অনেক সরকারি কর্মকর্তাকে জামায়াতের লোক বলে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (১৭ মে) নিউজ ২৪ টেলিভিশনের “মুক্তির কথা” অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মাসুদ বলেন, “অমুক টিএনও জামায়াতের লোক, অমুক এসপি জামায়াতের লোক — এভাবে যাদের বিরুদ্ধে বলা হয়, দেখা যায় তারা ভালো কাজ করেন, নামাজ পড়েন, ঘুষ খান না। তাহলে তো এটা আমাদের সৌভাগ্য।” তিনি তার নিজ এলাকার এক প্রশাসকের উদাহরণ দিয়ে বলেন, “তিনি ভিজিএফ কার্ড কাউকে অতিরিক্ত দেন না। তবুও তাকে সরানোর দাবি ওঠে, কারণ বলা হয় তিনি জামায়াতের লোক।”
রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ড. মাসুদ বলেন, “এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, একজন রিকশাচালকও চায় না তার ভাই রাজনীতিতে আসুক। রাজনীতি পচে গেছে, এখান থেকে উদ্ধার করতে হবে।”
তিনি Jamaat-এর সাবেক দুই মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মো. মোজাহিদের সফল মন্ত্রণালয় পরিচালনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “তাদের সময়ে দুর্নীতির প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি।”
নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমানে দুই-একটি মার্কাই ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হওয়া উচিত ছিল।”
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আচরণ নিয়ে তিনি বলেন, “তারা যা বলে, তা করে না; আর যা করে, তা বলে না। জামায়াত বলে—যা করব না, তা বলবও না।” সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, জামায়াতে ইসলামী প্রাথমিকভাবে তিনটি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে এবং জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
সাক্ষাৎকারের শেষাংশে ড. মাসুদ দাবি করেন, “আমরা প্রমাণ করেছি—সরকার পতনের পরও জামায়াত কোথাও লুটপাট বা ভাঙচুর করেনি। আমাদের নেতারা ফাঁসির মুখেও বলেছেন—এই দেশ একদিন ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হবে।”

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?