মজনুর রহমান আকাশ (মেহেরপুর প্রতিনিধি):
পিতার কাছ থেকে জমি কিনে ও লীজ নিয়ে দখল দারিত্বের অভিযোগে পুত্রের মামলায় ৩ জনের ঠাঁই হয়েছে জেলহাজতে। পুলিশ বৃহষ্পতিবার রাতে ক্রেতা ও লীজ গ্রহীতাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনীর ভোলাডাঙ্গা গ্রামে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- ওই গ্রামের জমি ক্রেতা রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে শফিকুল ও লীজ গ্রহীতা ইউসুফের ছেলে জাফিরুল ও পিন্টু। পুত্র নাজমুল হক প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে ক্রেতা ও লীজ গ্রহীতাদের হয়রানী করছে বলে দাবী করেছেন নাজমুলের পিতা আব্দুল কুদ্দুস।
জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের কাছ থেকে ৮ কাঠা জমি ক্রয় করেন ২০২০ সালে। সে থেকেই তিনি ওই জমি ভোগ দখল করে আসছেন। অপর দিকে গ্রামে জাফিরুল এক বিঘা, পিন্টু মিয়া এক বিঘা ও আব্দুল হান্নান ১০ কাঠা জমি কুদ্দুসের কাছ থেকে লীজ নিয়ে চাষাবাদ করছেন।
দীর্ঘদিন ওই জমি নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলেও সম্প্রতি আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাজমুল হক ওই জমি তার নিজের বলে দাবী করে ক্রেতা ও লীজ গ্রহীতাদেরকে ছেড়ে দিতে বলেন। ওই জমি ছাড়তে নারাজ হওয়ায় নাজমুল হক গাংনী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগ আমলে নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় পৌছাতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে প্রসিকিউশন দেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহন করে চার জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করেন। গ্রেপ্তারী পরওয়ানা বলে গাংনী থানা পুলিশ ক্রেতা শফিকুল ও লীজ গ্রহীতা জাফিরুল ও পিন্টুকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।
নাজমুল হক জানান, শফিকুল ইসলামসহ ভোগদখলকৃত জমি তার পিতা আব্দুল কুদ্দুস ২০১৯ সালে তার নামে দানস্বত্ব করে দেন।
ওই জমি কয়েকবার দখরদারকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়ে তিনি মামলা করেছেন। জমির দলিলে পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ভুল ও কাটাছেড়া কেন ? এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
এদিকে আব্দুল কুদ্দুস জানান, তিনি শফিকুল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করেছেন এবং জাফিরুল, পিন্টু ও আব্দুল হান্নানকে লীজ দিয়েছেন। ছেলে নাজমুল হক ঠক প্রতারক।
সে ভ‚য়া দলিল করে ওই জমি নিজের বলে দাবী করছেন। তিনি জমি ক্রেতা ও লীজ গ্রহীতাদের পক্ষে স্বাক্ষ্য দিবেন। গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নাজমুল হক নামের একজন গাংনী থানায় অভিযোগ দেয়। অভিযোগটি তদন্তকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়নি তাই বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দেন তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা। প্রসিকিউশন প্রাপ্তি হয়ে আদালত মামলাটি গ্রহন করে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করেন। এজন্য তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।