সজিব রেজা, দিনাজপুর প্রতিনিধি
গত ৪ দিন ধরে দিনাজপুরে দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের এ জেলা। বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি মতো ঝড়ছে শীতের শিশির। বৃষ্টির মতো শিশিরে ভিঁজে যাচ্ছে রাস্তা ঘাট। অনেক জায়গাতে খরকুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে মানুষ শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গত কাল বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর শহরসহ আশে পাশের উপজেলা গুলোতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়তে থাকে। আজকে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে কুয়াশার সাথে বয়ে যাচ্ছে হালকা বাতাস।
এই শীতে জনজীবন পড়েছে বিপর্যয়ে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হচ্ছে না। রাস্তার পাশে পশুরাও এই কনকনে শীতে কাঁপতেছে। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে
শীতে বেশি বিপাকে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। শীত জনিত নানান রোগে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি ভুগতেছে। হাসপাতাল গুলোতে শীত জনিত কারণে অসুস্থ রোগীর চাপ ও বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কনকনে শীতে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের। এই শীতে তারা কাজ করতে যেতে পারতেছেনা। অনেকে এই ঠান্ডায় কাজই পাচ্ছেনা। অন্যদিকে, আলু, রসুন ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলতেছে, গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেশি। দেখা মিলছে না সূর্যের। বোরো ধানের জন্য জমি তৈরি করছি কাজের জন্য কৃষি শ্রমিক পাচ্ছি না।