সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

ভারত নিজেদের স্বার্থেই পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করেছিল

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ভারত নিজেদের স্বার্থ ও সার্বভেৌমত্ব রক্ষার জন্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে এসে অংশগ্রহণ করেছিল। পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করেছিল। কারণ এত বড় একটা দেশ আরেকটা দেশের যুদ্ধে এমনি এমনি অংশ গ্রহণ করে না। শেখ হাসিনাকে খুনি এবং তার রক্তের পিপাসা এখনো শেষ হয়নি […]

নিউজ ডেস্ক

২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:৪৫

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ভারত নিজেদের স্বার্থ ও সার্বভেৌমত্ব রক্ষার জন্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে এসে অংশগ্রহণ করেছিল। পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করেছিল। কারণ এত বড় একটা দেশ আরেকটা দেশের যুদ্ধে এমনি এমনি অংশ গ্রহণ করে না।

শেখ হাসিনাকে খুনি এবং তার রক্তের পিপাসা এখনো শেষ হয়নি বলেও মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেন, ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারত এনে দিয়েছে। যা ১৬ ডিসেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতির ফেসবুক ও টুইটার পোস্টে দেখেছি।

বাংলাদেশের মানুষের ওপর এই বিশ্বাসটা চাপিয়ে দেওয়ার চষ্টো করেছে। এখন নতুন যে কোনো যুক্তি-তর্ক নেওয়ার জন্য, ভালোকে গ্রহণ ও খারাপকে ছুড়ে ফেলার জন্য যে তরুণ প্রজন্ম প্রস্তুত তাদের বোঝাতে হবে যে, একটা দেশ কোনোদিন দুটি দেশের মধ্যে এমনি এমনি চলে আসে না।

একটা দেশ কখনো আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এতটা উদার হয় না যে, দুটি দেশের যুদ্ধের মাঝখানে নিজে অংশগ্রহণ করবে। একটা যুদ্ধে যে কেউ অংশগ্রহণ করুক না কেন, হারুক বা জিতুক তার সামরিক, অর্থনৈতিক ও সৈনিকের দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা অবশ্যই থাকে।

আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বোঝাতে হবে, কীভাবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করেছিল। তাদের সবচেয়ে বড় অন্তর্নিহিত ইচ্ছা, সেই ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ১৯৭১ সালে ভারত করেছে। তরুণদের বোঝাতে হবে, কেবল বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়; নিজেদের সেভেন সিস্টার্সকে ‘সেভ’ করার জন্য ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।

ওই সেভেন সিস্টার্স মুক্তিযুদ্ধের আগে অভ্যন্তরীণ কালচার, মতপার্থক্যসহ নানা পরিস্থিতির কারণে প্রায়ই বিদ্রোহের মধ্যে থাকত। তখন ভারত ভয় পেত, কখন তারা নিজেরাই দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। বাংলাদেশের তিন পাশে যেমন ভারত, একইভাবে ভারতের তিন পাশেও এই ভূখণ্ডের বাংলাদেশ আছে। আবার এই ভূখণ্ডের সঙ্গে এক পাশে মিয়ানমার, ওপারে নেপাল, ভুটান, পাশে চীন।

ভারতের মনে তখন এই ভয় ও স্বার্থটা বেশি ছিল যে, এখন যদি আমি পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে না পারি বা সহযোগিতা না করি তবে নিজেদের সার্বভেৌমত্বই বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় থ্রেডের সম্মুখীন হলো আমাদের সার্বভেৌমত্ব। সেই থ্রেড ১৯৭১ সাল থেকে ‘২৪-এর গণ-অভু্যত্থান-পরবর্তী সময়ে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ছিল।

সারজিস বলেন, ‘৭১-এর আগে ও পরে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরাশক্তিগুলো ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার, পাকিস্তানের সঙ্গে চীন-আমেরিকার, সাউথ এশিয়ার অন্তর্নিহিত রাজনৈতিক গ্রুপগুলোতে নিজেদের ক্ষমতা ও প্রভাব টিকিয়ে রাখার জন্য ভারত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। সেই বিষয়গুলো না থাকলে ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করত না।

তরুণ প্রজন্মকে এটা বোঝাতে হবে। আধিপত্যবাদ খণ্ডন করতে হবে। ভারতকে যেভাবে পিরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটাকে খণ্ডন করতে হবে। এই আধিপত্যবাদ যে প্যারামিটার থেকে তৈরি হয়েছে সেই প্যারামিটার ভাঙতে হবে। যদি না পারি তবে অন্য আধিপত্যবাদের সহযোগী হয়ে যে কোনো সময় যে কোনো ফর্মে ফিরে আসবে তারা।

সারাদেশ

১৬ বছর চাকুরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তা অপারেশন ডেভিল হান্টের নেতৃত্বে

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেছেন,অপারেশন […]

ফারজিন লিটু

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৪৬

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেছেন,অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু।

এই অপারেশনের নেতৃত্বে রয়েছেন ১৬ বছর চাকুরিচ্যুত থাকার পর চাকরি ফিরে পাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা।

সারাদেশ

সেই ৩ ডাকাতের মিলেছে পরিচয়

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৪

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী মনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের চিল্লাচিল্লি শুনে এগিয়ে এসে দেখি ব্যাংকে ডাকাত ঢুকেছে। এসময় ব্যাংকের গেট ও জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, আটক তিন ডাকাতের বয়স ১৮ থেকে ২০ হবে। জানালা দিয়ে সবাইকে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেয়। সবার মুখে মাস্ক ছিলো। হাতে অস্ত্র ছিলো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।

জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক–সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।

 

সারাদেশ

নাটোরে ট্রেনের হুক ভেঙে বগি বিচ্ছিন্ন

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি): নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি):
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে এ ঘটনা ঘটে।
অপর লাইনগুলো সচল থাকায় অন্যান্য ট্রেন চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটেনি।
মাধনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ উজ্জ্বল আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে প্রবেশ করে।
স্টেশন বিরতি শেষে ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের (ঝ) বগি ও (ঞ) বগির মাঝখানের সংযোগ হুক ভেঙে বগি দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে মেরামত শেষে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।