বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

চুয়াডাঙ্গায় ১৪ বছর পর খোলা আকাশের নিচে জেলা বিএনপির সম্মেলন

জনি আহমেদ-(চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি): আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, বিএনপি যে নতুন রুপে সম্মেলন করতে যাচ্ছে এটাও জেলাবাসীর কাছে চমক। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলটাই ছিলো তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। কে পারে আওয়ামী লীগের সাথে।  তাদের জোর শক্তির ঐক্যতায় বিএনপির সাধ্য হয়নি মেইন সড়ক বা শহরের মঞ্চস্থে আলোচনা করা। সবসময় মানুষের কাছে মনে হয়েছে আওয়ামী লীগ […]

নিউজ ডেস্ক

২২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৬

জনি আহমেদ-(চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি):

আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, বিএনপি যে নতুন রুপে সম্মেলন করতে যাচ্ছে এটাও জেলাবাসীর কাছে চমক। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলটাই ছিলো তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। কে পারে আওয়ামী লীগের সাথে।  তাদের জোর শক্তির ঐক্যতায় বিএনপির সাধ্য হয়নি মেইন সড়ক বা শহরের মঞ্চস্থে আলোচনা করা।

সবসময় মানুষের কাছে মনে হয়েছে আওয়ামী লীগ একাই গণতান্ত্রিক দল। আর কোনো দল এ দেশে আছে। সেটা মনে করারও সুযোগ দেয়নি মানুষকে। কিন্তু হঠাৎ করেই শিলাবৃষ্টির মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যার দায়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকেই সবকিছু যেনো খোলসা হয়ে গেলো।

বিএনপি জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো সত্যিই যেনো প্রাণ ফিরে পেলো। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সবাই সবার মতো গুছিয়ে উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। ঠিক একইভাবে বিএনপিও যেনো জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দলটি। বিভিন্ন কর্মকা-ের অংশহিসেবে হাসি আনন্দ ফুরফুরে মেজাজেই ঠিক ১৪ বছর পর স্বাধীনভাবে বিশাল এক আয়োজনের মধ্যদিয়ে সম্মেলনটি শেষ করবে জেলা বিএনপি। তবে এবার নির্ধারিত ৮০৮ কাউন্সিলদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে নেতা।

এ সম্মেলনকে ঘিরে চুয়াডাঙ্গায় কয়েকদিন ধরেই মোটরসাইকেল শোডাউন মিটিং মিছিলে সরব রয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন। বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুনে সেজেছে পুরো শহর। দীর্ঘ ১৪ বছর বিশেষ উপেক্ষিত পার করে আগামীকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এ কারণে গোটা জেলাকে নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যেও। তোরণ, পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহরের রাজপথ। আর এতে শোভা পাচ্ছে, কেন্দ্রীয় ও জেলার শীর্ষ নেতাদের ছবি। সম্মেলনস্থল শহরের টাউন ফুটবল মাঠ সেজেছে বর্ণিল সাজে। মাঠের পশ্চিম প্রান্তে বিশাল আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

সম্মেলনে ১৩ হাজার নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটবে এমন প্রত্যাশাই করছেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান। সম্মেলন উপলক্ষে প্রায় শেষ হওয়া সকল প্রস্তুতি ঘুরে ঘুরে দেখেন তারা। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। সেসময় তিনি বলেন, এবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন হচ্ছে।

বিএনপি তার নিজ ঘর থেকেই গণতন্ত্র চর্চা করতে বদ্ধপরিকর। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় এই দলতে নানা নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। এখন স্বাধীনভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার সময় এসেছে। নিজেদেরকে নতুন করে যাচাই করারও সময় হয়েছে।

ভোট প্রসঙ্গে বাবু খান বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে যেসব প্রার্থী অংশ নিয়েছেন তারা সকলেই যোগ্য। আবার যারা কাউন্সিলর আছেন তারা সবাই বিচক্ষণ এবং মেধা সম্পন্ন। যার ভোট সে নিজেই দিবে, যাকে খুশি তাকেই দিবে। এখানে সবাই স্বাধীন। নিরপেক্ষভাবে ভোটাররা ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।

সম্মেলনের নিরাপত্তার ব্যাপারে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, সম্মেলন শান্তিপূর্ণ করতে দলের ১১শ’ স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা থাকবেন সজাগ অবস্থানে। সম্মেলন শান্তিপূর্ণ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সম্মেলন উৎসবমূখর করতে আমাদের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ।

এবার জেলা বিএনপির সভপাতি প্রার্থী হিসেবে বর্তমান আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু একক প্রার্থী থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হতে চলেছেন। ফলে এ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। তবে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে হবে ভোটের লড়াই। এ দুটি পদে প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন।

এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন জেলা বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ ও মিলিমা বিশ^াস মিলি। আর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়বেন সফিকুল ইসলাম পিটু, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, খালিদ মাহমুদ মিল্টন ও মোমিনুর রহমান।

এবারের সম্মেলনে আরও একটি চমক হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি। সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সশরীরে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি থাকবেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

এছাড়া বক্তব্য রাখবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১০ সালে বঙ্গজ ফ্যাক্টরির মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ২০২১ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আন্দোলন সংগ্রাম, মামলা, হামলা, গ্রেপ্তারের কারণে নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন করতে পারেনি জেলা বিএনপি।

খানিকটা দেরিতে হলেও এবার জেলা বিএনপি বড় আয়োজনে সম্মেলন করতে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ইতিহাসে কোনো খোলা ময়দানে এতবড় আয়োজনে সম্মেলন এই প্রথম। এ সম্মেলন উপলক্ষে গত ১৪ নভেম্বর সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়।

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”