শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ চালানো সম্ভব না : দুলু

সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেছেন, রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের জন্য তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নজিরবিহীনভাবে দেশের বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও প্রশাসন দলীয়করণ হয়েছে। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি, অতিসত্বর নির্বাচনের রোড ম্যাপ দিন। জনগণের ভোটে […]

নিউজ ডেস্ক

০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:০৪

সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেছেন, রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের জন্য তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নজিরবিহীনভাবে দেশের বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও প্রশাসন দলীয়করণ হয়েছে। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি, অতিসত্বর নির্বাচনের রোড ম্যাপ দিন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ চালানো সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সাবেক উপমন্ত্রী দুলু বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ বছর বিনা কারণে জেলে আটকে রেখেছিলেন।

প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে দেশান্তরিত করেছেন। আমরা ১৬ বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় স্বাধীনতায় যোগ দেওয়ায় আওয়ামী লীগের পতন চরমভাবে হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তার জানাজার লোক ছিল না, আর শেখ হাসিনা পালানোর সময় ওবায়দুল কাদেরও পাশে ছিল না।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন, বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসা, আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, জেলা যুবদলের

সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি শাহনেওয়াজ লাবু, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুর হাসান সুমন প্রমুখ।

এরপর একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে নগরীর ছালেক পাম্প, প্রেসক্লাব মোড়, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, সিটি বাজার, কাচারী বাজার হয়ে ডিসির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশে নেতারা বক্তব্য রাখেন। এদিকে রংপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজুর নেতৃত্বে পৃথকভাবে র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচারি বাজারের সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি রাশেদ উন নবী খান বিপ্লব, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও জেলা সমবায় দলের আহ্বায়ক সেলিম চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশফাকুল বসুনিয়া আজাদ, সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু আলী মিঠু,

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকছেনুল আরেফীন রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান তিতু, মহানগর তাঁতী দলের সাবেক আহ্বায়ক এমএম আলম পান্না, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুন্তাসির মামুন মুন্না, যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ রাজ প্রমুখ।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির কর্মসূচিতে রংপুরে নেতাকর্মীর ঢল নামে। রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন। র‌্যালি ও সমাবেশ থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাসহ জুলাই বিপ্লবে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।

 

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”