রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান মন্তব্য করেছেন, এনসিপি এখন মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের দল, এবং প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি এই দলের অকল্পনীয় রকমের পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এতদিন তিনি এই বিষয়টি কিছুটা আড়াল করে বললেও, এখন আর কোনো রাখঢাক রাখছেন না।
তিনি জানান, ড. ইউনূস সম্প্রতি পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং এই বিষয়ে সরাসরি এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলামকেই ডেকে কথা বলেছেন, অন্য কাউকে কিছু জানাননি। এমন আচরণে বোঝা যায়, তিনি এই দলের সঙ্গেই গভীরভাবে যুক্ত। জাহেদ উর রহমান উল্লেখ করেন, ড. ইউনূস যুক্তরাজ্যে গিয়ে ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও এনসিপির প্রতি তার সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জুলাই গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার ছাত্র বিষয়ক বক্তব্য নিয়েও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
“ছাত্ররা আমার নিয়োগকর্তা” এই বক্তব্য আপাতদৃষ্টিতে ভালো শোনালেও, ড. ইউনূস এতে শুধু কিছু নির্দিষ্ট ছাত্রনেতাদের বুঝিয়েছেন। অথচ সেই আন্দোলনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ নানা মত ও পথের ছাত্র অংশ নিয়েছিল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মূল আন্দোলনের ধারা ধরে রেখেছিল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা, যাদের অবদান না থাকলে আন্দোলন সফল হতো না বলেও জাহেদ উর রহমান মন্তব্য করেন।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ড. ইউনূসের এমন সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিই আজ রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। নির্বাচনের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন, ড. ইউনূস যতই বলুন না কেন, বাস্তবে ডিসেম্বর কিংবা ৩০ জুনে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, নির্বাচন আরও পেছানোর চেষ্টাই চলছে এবং এতে এনসিপি সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে, সরকারেরও এই পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?