আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে কোনোভাবেই সরে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে পূর্বঘোষিত এক গণজমায়েতে তিনি বলেন, “যদি কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমার কণ্ঠরোধ করা হয়, তবুও আপনারা রাজপথ ছাড়বেন না—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।”
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “জোরপূর্বক বা চাপের মুখে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও, সেটি আপনারা গ্রহণ করবেন না। আমাদের লক্ষ্য এক—ফ্যাসিবাদবিরোধী এই আন্দোলনের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।”
শাহবাগ আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টেনে এনে তিনি বলেন, “২০১৩ সালে শাহবাগ থেকেই ফ্যাসিবাদের সূচনা হয়েছিল, এবার এখান থেকেই তার পতন হবে। মত ও পথ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু এই দলে নিষিদ্ধের দাবিতে আমাদের অবস্থান অভিন্ন।”
চলমান দাবদাহ ও আন্দোলনের কষ্টের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত দু’দিন রাস্তায় আছি, যে কোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারি। কিন্তু আমি এখনই বলে যাচ্ছি, যদি কেউ আমার মুখ দিয়ে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করে, তাও আপনারা পথ ছাড়বেন না।”
বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত বলে মন্তব্য করেন হাসনাত, “একদিকে ফ্যাসিবাদী শক্তি, আরেকদিকে বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে চায় না, তারা এই ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষক। আর যারা নিষিদ্ধ চায়, তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক।”
জুলাই মাসে ঘোষিত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। আমি যদি পরবর্তী কর্মসূচি দিতে না পারি, তবুও আপনাদের মানজিলে মাকসুদ হবে—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।”

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?