রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

জাতীয় নাগরিক পার্টির টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রনি

সদ্য গঠিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষক গোলাম মওলা রনি। তিনি দলটির উদ্বোধনী আয়োজনের আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশ এবং বিপুল ব্যয়ের পরিমাণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যয় নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, শত কোটি টাকা খরচ […]

জাতীয় নাগরিক পার্টির টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রনি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৩ মার্চ ২০২৫, ১০:১০

সদ্য গঠিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষক গোলাম মওলা রনি। তিনি দলটির উদ্বোধনী আয়োজনের আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশ এবং বিপুল ব্যয়ের পরিমাণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যয় নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, শত কোটি টাকা খরচ হয়েছে, আবার কেউ ধারণা করছেন, কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বিশাল মঞ্চ, চোখ ধাঁধানো আয়োজন, সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতি এবং বিলাসবহুল ব্যবস্থাপনা দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এই অর্থের উৎস কী?

গোলাম মওলা রনি বলেন, “এই দল যারা গঠন করেছে, তারা তো কিছুদিন আগেও ছাত্র ছিলেন। তাদের অনেকেই নিম্নবিত্ত কিংবা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অথচ মাত্র ছয়-সাত মাসের ব্যবধানে তারা বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ছেন, দামি ব্র্যান্ডের পোশাক পরছেন, হাতে লাখ টাকার ঘড়ি পরছেন, এমনকি অনেকে অভিজাত পরিবারে বিয়ে করছেন। প্রশ্ন হলো, তারা এত দ্রুত এত বিত্ত-বৈভব কীভাবে অর্জন করল?”

তিনি আরও বলেন, “শোনা যাচ্ছে, ধনকুবেরদের কেউ কেউ তাদের গাড়ি উপহার দিচ্ছেন, ব্যয়বহুল জীবনযাপনের সুযোগ করে দিচ্ছেন। সকালে এক গাড়ি, বিকেলে আরেক গাড়ি, রাতে নতুন গাড়ি ব্যবহার—এত বিলাসিতা তারা কীভাবে করছেন? এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে আসছে, সেটাই এখন প্রশ্ন।”

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সব সময়ই অর্থের খেলায় লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন রনি। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সব দলই নির্বাচনী রাজনীতিতে টাকা ব্যবহার করেছে। এরশাদ যখন সেনাপ্রধান ছিলেন, তখন তার সরকারি বেতন কত ছিল? কিন্তু তারপরও তিনি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতেন। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নির্বাচন ও রাজনীতির জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থের লেনদেন করেছে, যা কারো অজানা নয়।”

গোলাম মওলা রনি আরও দাবি করেন, “যদি জাতীয় নাগরিক পার্টি কোনো শিল্পগোষ্ঠী, বিদেশি সংস্থা বা দানশীল ব্যক্তি থেকে অর্থ পেয়ে থাকে, তাহলে সেটা খুব একটা ব্যতিক্রম নয়। চীন, ভারত কিংবা আমেরিকার মতো দেশগুলোরও বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরাসরি প্রভাব রয়েছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে, বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশে ছোট রাজনৈতিক দল ও এনজিওদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, অতীতে রাতের ভোট পরিচালনার জন্য বিদেশি শক্তিগুলো বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তখন ভারত বিএনপিকে কিছু আসন দিতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত চীনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বদলে যায়। এরপর রাতের আঁধারে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছিল।”

এই ধরনের রাজনৈতিক অর্থের প্রবাহ নতুন কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন, “শুধু ছাত্রদের টাকা কোথা থেকে এলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো মানে হয় না। বরং ভবিষ্যতে তারা যদি বড় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং ভালো খাবারের ব্যবস্থা রাখে, তাহলে সেখানে গিয়ে খেয়ে আসাই ভালো।”

তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, আবার কেউ এটিকে অতিরঞ্জিত বলে দাবি করছেন। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৩৮৪

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
poll_title
ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনীতি

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৬৯৫

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৬১৮

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
poll_title
ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনীতি

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৬৯৫