রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

আ.লীগ নিষিদ্ধে’র প্রশ্নে কোনো আপোষ করবে না গণঅধিকার পরিষদ : নুর

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅধিকার পরিষদ কোনো আপোষ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৪

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅধিকার পরিষদ কোনো আপোষ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে নাইটিংগেল, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ঘুরে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, ভোট ও নির্বাচন নিয়ে অনেকের যত কথা শোনা যায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে তত আওয়াজ শোনা যায় না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ ডিসিদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের আমলে ১৬ বছরের লুটপাটের বিচারের দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ চলবে, ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ হবে।

অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আওয়ামী লীগের প্রশ্নে অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস পরও কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের রাজপথে নামতে হবে? এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে, যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের মুক্তি ও জামিনের জন্য গণঅভ্যুত্থানের শরিকদের অনেকেই সুপারিশ করছে, দল ভারী করতে দলে বেড়াচ্ছে।

স্পষ্টত গত ৬ মাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আকাঙ্ক্ষা পূরণে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে। প্রকৃত অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে সংস্কারের প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য যে, তার সাহসী সন্তানরা রাজপথে লড়াই করে নতুন ইতিহাস তৈরি করে আর সুবিধা ভোগ করে গুটিকয়েক মানুষ। এবার আর আমরা তা হতে দেব না। রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ না হলে এ গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে।

তাই জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবশ্যই রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে ফ্যাসিবাদের আমলে দুর্নীতি ,লুটপাট ও অর্থ পাচারসহ যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিল তাদেরও বিচার করতে হবে। ৬ মাস যাবত স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নেই, জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন দিন। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন একটা ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। এতে প্রশাসনের ফিটনেসও বোঝা যাবে।

দলের সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু ৬ মাসেও তারা আ.লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আ.লীগকে নিষিদ্ধ না করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে- শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুলিশ ও আ.লীগ একসঙ্গে গণহত্যা চালিয়েছে। এই রিপোর্টের পর আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা ও গণহত্যার বিচার করার গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছে। আমরা গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জেলার ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর গণহত্যার বিচারে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।

আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাও করার হুমকি দেন তিনি।

রাশেদ বলেন, এখনো জুলাই আন্দোলনে আহতদের আর্তচিৎকার, শহীদ পরিবারে আহাজারি চলছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকার অপারেশন ডেবিল হান্ট শুরু করেছে, তবে এর আগেই হাসিনা-কাদের পালিয়েছে। রাঘব-বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। গ্রাম-গঞ্জে লুঙ্গি পরা নিরীহ আ.লীগকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বড় নেতাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখে আওয়ামী লীগের পাতি নেতাদের গ্রেপ্তার করলে এই ডেভিল হান্ট সফল হবে না। ভারতের সঙ্গে বন্দি চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে গণহত্যার বিচার না করলে আপনাদের জনগণ ক্ষমা করবে না।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়োগ, প্রমোশনে স্বচ্ছতা দেখাতে পারেনি সরকার৷ অভিযোগ আছে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ, প্রমোশন হচ্ছে। যদি এই রাষ্ট্রের ন্যূনতম সংস্কার করা না যায়, তাহলে শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। রাষ্ট্র সংস্কারে আগে এই একপাক্ষিক উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার করে বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সবার প্রতিনিধিদের সমন্বয় উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে। একজন ব্যক্তি ২টি মন্ত্রণালয় চালাচ্ছে, এভাবে রাষ্ট্র সংস্কার হয়?

দলের সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গণঅধিকার পরিষদ কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করে না। স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল গণঅধিকার পরিষদ। বাংলাদেশে নব্য কোনো স্বৈরাচার জন্ম হতে দেব না। আগামীতে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে।

বিক্ষোভ ও গণমিছিলে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন, সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা।

এছাড়াও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আরিফ তালুকদার, মাহফুজুর রহমান, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ নেওয়াজ খান বাপ্পী প্রমুখ।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২৭১

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

মোট ভোট: ৪৩৬

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯০

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

মোট ভোট: ৪৩৬