ইন্ডিয়ান দুর্বৃত্তদের যেখানে দেখবেন সেইখানেই দাবড়ানি দিবেন এমন কথা বলেন পিনাকী ভট্টাচার্য।
ইন্ডিয়ান এজেন্টরা মূলত ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে, যারা বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের দেশের নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করে। তবে, পিনাকী বিশ্বাসের মতে, এই এজেন্টরা মাঠে সক্রিয় থাকলে, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
পিনাকী বিশ্বাসের এ ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। তার মতে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর নজর রাখছে না, বরং তারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে।
এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য একটি অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে, যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হতে পারে।”দাবড়ানি দিতে বললেন”—এই শব্দটি পিনাকী বিশ্বাসের বক্তৃতায় গুরুত্বপূর্ণ। এটি সম্ভবত বোঝাতে চাচ্ছে যে, ভারতীয় এজেন্টরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশে চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হতে পারে।
এর ফলে কিছু রাজনৈতিক দল এবং গোষ্ঠীকে সুবিধা প্রদান করা, কিংবা দেশের সরকারকে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ফেলা হতে পারে। পিনাকী সম্ভবত এমন এক পরিস্থিতি কল্পনা করছেন, যেখানে ভারতীয় এজেন্টরা কৌশলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলগুলোর উপর প্রভাব বিস্তার করে।বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে এখন এই পরিস্থিতির বিষয়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে।
বিদেশি শক্তির প্রভাব থেকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির উচিত, নিজেদের দেশীয় স্বার্থ রক্ষা করতে আরও সজাগ হওয়া, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও পরিপক্বতা প্রদর্শন করা।
পিনাকী বিশ্বাসের মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি একধরনের সতর্কবার্তা। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, রাজনৈতিক সম্পর্ক শুধু রাষ্ট্রীয় স্তরে নয়, জনগণের মধ্যে সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে, সঠিক কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে দেশকে আন্তর্জাতিক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা প্রয়োজন।
বর্তমানে, ভারতীয় এজেন্টদের মাঠে সক্রিয়তার বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পিনাকী বিশ্বাসের মন্তব্য একটি গভীর সংকেত দেয়, যেখানে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে যদি ইন্ডিয়ান এজেন্টরা তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।
তাই, দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক শান্তি বজায় রাখতে, রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলি ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?