রাজধানীর হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত যুবদলের নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০)মারা গেছেন। তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর ৪টা ১০মিনিটে মারা যান।
এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর রাতে হাজারীবাগ এনায়েতগঞ্জ এলাকায় একটি মিলাদ মাহফিল শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাত সোয়া ১০ টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, হাজারীবাগ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম। পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে, পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে মারা যান। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হাজারীবাগের ভাগলপুর লেনের মৃত হাজী আফতাব উদ্দিনের ছেলে জিয়া।
দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট।
নিহতের ভাগনী নাফিসা আক্তার ঢামেকের মর্গের সামনে সাংবাদিকদের জানান, তার মামা জিয়া ঠিকাদারি ব্যাবসা করতেন। এবং হাজারীবাগ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দুইদিন আগে খুনিরা একই এলাকার একটি ছেলেকে মারধর করে।
বিষয়টির প্রতিবাদ করেছিলেন নিহত জিয়ার ভাগিনা এলহাম। এতে তারা এলহামের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে এলহাম আরো শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন করে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম বিরোধের সৃষ্টি হয়। খুনিদের ধারণা ছিল, জিয়ার ইন্ধনে তারা এ-সব করেছিল।
এ সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার রিপন, মাসুদ, সুমন, বিল্লালসহ আরো বেশ কয়েকজন মামা জিয়ার উপর হামলা করে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। খুনিরা এলাকার বকাটে সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিত হলো মামাকে।’
এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান নিহতের স্বজনরা।