শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি করা অস্ত্রধারীরা

রংপুরে বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া এবং গুলি চালানো ব্যক্তিদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এতে অস্ত্রধারীদের নিয়ে রংপুরবাসীর মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তাদের আশঙ্কা, অস্ত্রধারীরা ব্যক্তিগত-রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় যেকোনো অপকর্ম ঘটিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। পুলিশ বলছে, ওই সময়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। অনেকেই আসামি হয়েছেন, অনেকের নামে মামলা নেই। […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪০

রংপুরে বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া এবং গুলি চালানো ব্যক্তিদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এতে অস্ত্রধারীদের নিয়ে রংপুরবাসীর মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তাদের আশঙ্কা, অস্ত্রধারীরা ব্যক্তিগত-রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় যেকোনো অপকর্ম ঘটিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

পুলিশ বলছে, ওই সময়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।

অনেকেই আসামি হয়েছেন, অনেকের নামে মামলা নেই। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয় সে সময়কার সরকার। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তার অঙ্গসংগঠনগুলোকে মাঠ দখলের নির্দেশনা দেয়।

যার পরিপ্রেক্ষিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ঠেকাতে তৎপর হন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন পার্ক মোড়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন তারা।

গত ১৬ জুলাই রংপুর জুড়ে দিনভর বিক্ষোভ উত্তেজনার পর, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পার্ক মোড় এলাকায়। এই সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু যুবককে দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়।

 

ওই দিন পুলিশের সহযোগিতায় তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুপুরে সংঘর্ষ চালাকালে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এতে সারা দেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে।
ওই ঘটনার জেরে গত ১৯ জুলাই শুক্রবার ফের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রংপুর। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হন।

এর পর থেকে লাগাতার বিক্ষোভ চলছিল। গত ৪ আগস্ট ফের রংপুর নগরীতে আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার জন্য প্রকাশ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অস্ত্রধারীরা।
বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় অফিস থেকে রংপুর নগরীর জাহাজ কম্পানি মোড়ে অবস্থান নেন। আর টাউন হল ও লায়ন্স স্কুলের মোড়ে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন যুবককে হেলমেট পরে পিস্তল হাতে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। অনেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না, কিন্তু ধারালো রামদা, জিআই পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। সবাই মারমুখী ছিলেন আন্দোলনকারীদের দমনে। সংঘর্ষে নিহত যুবলীগ নেতা হরাধন রায়ও প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করেছেন সেখানে।

জাতীয়

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি। মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

জাতীয়

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

ইশরাক

নিউজ ডেস্ক

২৬ মে ২০২৫, ২২:৩৩

বিএনপি সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জয়ী হলেও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারলেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়—এই আইনি সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৪টায়।

শেষ দিনের শপথ নিশ্চিত করতে ইশরাকের আইনজীবী ও রিটকারী পক্ষ মরিয়া চেষ্টা চালান। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী শপথগ্রহণের পথ খুঁজতে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো মতামত আসেনি। এতে শপথের প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি।

এ নিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

ইশরাকের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে তারা লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। রিটকারী পক্ষও হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা বলেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন এই ইস্যু ঘিরে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি এবং ইশরাকের সমর্থকরা বলছেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ‘অদৃশ্য এক খেলার’ মাধ্যমে তাকে শপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে কিছু নমনীয়তা দেখা গেলেও, আইন মন্ত্রণালয়ের নিরব অবস্থান পুরো প্রক্রিয়াকে স্থবির করে দেয়। ফলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই শপথ যুদ্ধের শেষ বিজয়ী আসলে কে?

জাতীয়

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ […]

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ১৮:২৬

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।
সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে আরএসও গোষ্ঠীর সদস্যরা শুধু মহড়াই চালাচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, আটক ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে দুর্বল, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে।

সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসও এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)-এর হাতে সীমান্তে অন্তত ১২টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসও এবং ৪টি এআরএ। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩-৫ জন করে সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদা আদায়ে জড়িত।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাচার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

সংস্থাটি একে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সীমান্তে আরএসও’র এই তৎপরতার পাশাপাশি পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ’র মধ্যে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেএনএফকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা ও রাখাইনের জন্য কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি ‘রিফিউজি ইস্যু’ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সীমান্ত রাজনীতি যা বাংলাদেশকে এক অদৃশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।