রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

সেনাপ্রধানের কঠোর সতর্কবার্তা , নিজেদের মধ্যে হানাহানি করলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে : সেনাপ্রধান

‘যদি নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে একত্র হয়ে কাজ না করেন, যদি কাদা-ছোড়াছুড়ি, মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত থাকেন, তাহলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।’— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপত্তা বাহিনীর […]

সেনাপ্রধানের কঠোর সতর্কবার্তা , নিজেদের মধ্যে হানাহানি করলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে : সেনাপ্রধান

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮:০৫

‘যদি নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে একত্র হয়ে কাজ না করেন, যদি কাদা-ছোড়াছুড়ি, মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত থাকেন, তাহলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।’— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা এবং দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কঠোর বার্তা দেন।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমি আজ বলে দিলাম। না হলে আপনারা বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছি। আমার অন্য কোনো স্বার্থ নেই। আই হ্যাড এনাফ লাস্ট সেভেন-এইট মান্থস। আই হ্যাড এনাফ।’

অপরাধীদের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে

দেশের বর্তমান অস্থিতিশীলতার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমি চাই, দেশ ও জাতিকে একটি স্থিতিশীল জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফিরে যাব। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই, তা হলো— দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ হলো— আমরা নিজেরা হানাহানিতে ব্যস্ত। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদগারে ব্যস্ত। আর এই পরিস্থিতিই অপরাধীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে আছি। অপরাধীরা জানে, এই সময়ে তারা অপরাধ করলেও সহজেই পার পেয়ে যাবে। ফলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কিন্তু আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, একসঙ্গে সংগঠিত হই, তাহলে অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জ সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অকার্যকারিতা ও সংকট

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর ভূমিকা নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজ পুলিশ বাহিনী স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছে না, কারণ তাদের অনেকেই কারাগারে। র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা আতঙ্কিত। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর একার না। আনসার বাহিনী রয়েছে, অন্যান্য বাহিনীও রয়েছে। মাত্র ৩০ হাজার সেনা সদস্য নিয়ে পুরো দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। আমরা একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, যেখানে অপরাধীরা অবস্থা কাজে লাগাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই— এ সবগুলো সংস্থা অতীতে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা অনেক ভালো কাজ করেছে। বর্তমানে যে স্থিতিশীলতা আমরা উপভোগ করছি, তা সম্ভব হয়েছে এই বাহিনীগুলোর যৌথ প্রচেষ্টার কারণে। বছরের পর বছর তারা দেশকে স্থিতিশীল রেখেছে।’

অপরাধীদের বিচার ও বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যারা অপরাধে লিপ্ত ছিল, তাদের বিচারের ব্যাপারে সেনাপ্রধান বলেন, ‘যারা অপরাধ করেছে, তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। এটি নিশ্চিত করা হবে। না হলে এই চক্র আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আমরা এটিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে চাই। তবে, এই প্রক্রিয়ায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সার্বিক কার্যকারিতা ও ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়।’

সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য বর্তমান নিরাপত্তা সংকট এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের করণীয় সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না এবং সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৮৩

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২২৬

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৮৩

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২২৬