অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সরকারের সাফল্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও অর্জন সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। প্রেস সচিব জানান, সরকার দ্রুততার সাথে দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সরকার সফল হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার তদন্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং আগামী মাসের শুরুতে প্রথম প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, দেশে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। শহীদ পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে এবং আহতদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: ক্ষমতা গ্রহণের সময় অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। সরকার ১০০ দিনের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরুদ্ধার করেছে। রপ্তানি ঘুরে দাঁড়িয়েছে; সেপ্টেম্বরে চালান ৭% এবং অক্টোবরে ২০% এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকিং খাত স্থিতিশীল হয়েছে। দেশের সেরা অর্থনীতিবিদদের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে নিযুক্ত করা হয়েছে এবং তারা প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।
এ পর্যন্ত দশটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে ঐক্যমত তৈরি করা হবে।
এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। নতুন ও গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করতে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর এটি ভোটার তালিকা প্রস্তুতির কাজ শুরু করবে।
পররাষ্ট্রনীতিতে, সার্কের পুনরুজ্জীবন এবং আসিয়ানের সদস্যপদ অর্জনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে সমাজে ব্যাপক বিতর্ক ও আলোচনার সূচনা হয়েছে, যা সমাজের কাঠামো নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনার পথ প্রশস্ত করেছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মতে, সরকারের এই সাফল্যসমূহ দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?