হাসিবুল হাসান হাবিব ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের সলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও বিএনপির আহ্বায়ক।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর থেকেই আশপাশের এলাকার মানুষ ভিড় করে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সারুকদিয়া ফুটবল মাঠে। অপেক্ষা দীর্ঘ ১০ বছর পর গ্রামের ছেলেকে দেখতে পারবেন তারা। হাজারও নারী-পুরুষের অপেক্ষার অবসান হয় বিকাল ৩টা ১৩ মিনিটে।
হেলিকপ্টার নিয়ে অবতরণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও বিএনপির আহ্বায়ক হাসিবুল হাসান হাবিব। হেলিকপ্টার থেকে নামতেই গ্রামবাসী তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন।
ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও। পরে প্রায় এক কিলোমিটার পথে পায়ে হেঁটেই মিছিলের সঙ্গে নিজ বাড়িতে পৌঁছান বিএনপির এই নেতা।
দীর্ঘদিন পর দেশে আসতে পেরে খুশি যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও বিএনপির আহ্বায়ক হাসিবুল হাসান হাবিব। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচারে দেশে আসতে পারিনি। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর মাতৃভূমিতে আসলাম।
অনেক ভালো লাগছে, দেশের ও এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, আমি সেই হেলিকপ্টার নিয়েই নিজ গ্রামে আসলাম। শেখ হাসিনা না পালালে আমি দেশে আসতে পারতাম না।
শের মাটিতে পা রাখার পর এই বিএনপি নেতা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর এই স্বৈরাচারী ডাইনি হাসিনার কবলে আমরা অনেকেই নির্যাতিত। এই ইন্ডিয়ান তাঁবেদারি আমাদের নি:ষ্পেষিত করে রেখেছিল। আমরা সেই বন্দিশালা থেকে মুক্তি পেয়েছি।
এই শেখ হাসিনা না পালালে আমার প্রিয় জন্মভূমিতে আসা সম্ভব ছিল না। তিনি বলেন, আপনারা জানেন শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে আমরা দিনের বেলাতেই হেলিকপ্টারে করে আমার মাতৃভূমিতে পা রেখেছি।
আমি অনেক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমার অনেক জমি দখল করে নিয়ে গেছে।
হাসিবুল হাসান হাবিব উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কারও প্রতিদ্বন্দ্বী হতে আসি নাই। কারণ, আমি কোনোদিন নির্বাচন করব না। কিন্তু রাজনীতি আর নির্বাচন এক নয়। আমি সকলের পাশে থাকতে চাই এবং দলকে সুসংগঠিত করতে চাই।
এদিকে তার আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে একাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি ফেস্টুন লাগিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকে। দীর্ঘদিন পর দেশে আসতে পারায় সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতারের আয়োজন করেন তিনি। প্রায় চার হাজার মানুষ ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?