বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
১ মাঘ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

সচিবালয়ের ৮-৯ তলার গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্র পুড়ে ছাই

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬

সচিবালয়ের ৮-৯ তলার গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্র পুড়ে ছাই

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে লাগা আগুন পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এলেও, ভবনের আট এবং নয় তলার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আগুনের কারণে ভবনের আট এবং নয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার নথিপত্র পুড়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ অবস্থিত। গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়গুলোর নথিপত্রে আগুনের ক্ষতি দেশের প্রশাসনিক কাজের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র অনুযায়ী, তারা আগুন লাগার খবর পায় দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে। ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি ইউনিট কাজ করলেও, পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। রাত ১ টায় আগুন প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনে ভবনটির ছয়, সাত, আট, নয় তলা আগুনে পুড়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ২০ ইউনিট ও ২১১ ফায়ারকর্মী কাজ করেছে। তবে জায়গা সংকটের কারণে ১০ ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে। এখন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কক্ষে কক্ষে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ছয় তলা ও সাত তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া বেশিরভাগ তলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।

ডিজি জানান, আগুনের উৎস এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। সট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা নিশ্চিত না হয়ে এবিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।

 

এ সম্পর্কিত আরো খবর