ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) সম্প্রতি পারস্য উপসাগরে ১১৬ নট (প্রায় ২১৫ কিমি/ঘণ্টা) গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। এই উন্নয়ন ইরানের সামরিক সক্ষমতার নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আইআরজিসি নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলিরেজা তাংসিরি জানিয়েছেন, নতুন এই যুদ্ধজাহাজটি সব ধরনের প্রযুক্তিগত ও বিশেষায়িত পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন,
“আমরা এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করেছি, যা ১১৬ নট গতিতে চলতে সক্ষম। এটি আমাদের সামরিক প্রযুক্তির উন্নতির প্রতিফলন।”
তাংসিরি আরও উল্লেখ করেন,
“ইসলামী বিপ্লবের আগে আমরা এমনকি একটি ছোট মাছ ধরার নৌকাও তৈরি করতে পারতাম না। কিন্তু এখন আমরা শহীদ সোলাইমানি নামক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেছি, যা ৫,০০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অবিরাম সমুদ্রযাত্রা করতে সক্ষম।”
এই উন্নয়ন ইরানের সামরিক স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইআরজিসি নৌবাহিনী দিন-রাত কাজ করছে বলে জানান তাংসিরি। তিনি বলেন,
“আমরা এই অঞ্চলের শান্তি, বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব কামনা করি, তবে শত্রুদের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত।”
এই উন্নয়ন ইরানের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পারস্য উপসাগরে বিদেশি শক্তির উপস্থিতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উন্নয়ন ইরানের প্রতিরক্ষা কৌশলে একটি নতুন অধ্যায় সূচিত করেছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?