বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ইরানের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তিতে সই করলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশ ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিস্তৃত কৌশলগত চুক্তিতে আইনি স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে এই চুক্তি এখন রাশিয়ায় পূর্ণ আইনি বৈধতা পেল। এর আগে চলতি এপ্রিল মাসে রাশিয়ার সংসদের দুই কক্ষ—স্টেট ডুমা ও ফেডারেশন কাউন্সিল—চুক্তিটির অনুমোদন দেয়। ইরানভিত্তিক গণমাধ্যম পার্স টুডে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান […]

নিউজ ডেস্ক

২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৪৪

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশ ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিস্তৃত কৌশলগত চুক্তিতে আইনি স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে এই চুক্তি এখন রাশিয়ায় পূর্ণ আইনি বৈধতা পেল। এর আগে চলতি এপ্রিল মাসে রাশিয়ার সংসদের দুই কক্ষ—স্টেট ডুমা ও ফেডারেশন কাউন্সিল—চুক্তিটির অনুমোদন দেয়।

ইরানভিত্তিক গণমাধ্যম পার্স টুডে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান রাশিয়া সফরকালে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির লক্ষ্য—দীর্ঘমেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এমন এক স্তরে উন্নীত করা, যা দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও সুসংহত করবে।

এই চুক্তির আওতায় রাশিয়া ও ইরান প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা, অর্থনীতি, কৃষি, পরিবহন, শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের কাঠামো গড়ে তুলবে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এই চুক্তি দুই রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক ও পারস্পরিক নির্ভরতার বার্তা বহন করছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় এখন রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পরবর্তী ধাপ হলো—ইরানের সংসদে চুক্তির অনুমোদন, যার পরেই এটি কার্যকর হবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি সম্প্রতি রাশিয়া সফরকালে রাশিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমাদের সংসদও এই চুক্তিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অনুমোদন সম্পন্ন হবে বলে আমি আশা করি।”

তিনি আরও বলেন, “এই বিস্তৃত কৌশলগত চুক্তি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়—ইরান ও রাশিয়া স্বল্পমেয়াদি সংকট নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপর জোর দিচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয় যে দুই দেশ নিজেদের জাতীয় স্বার্থে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তি শুধু ইরান-রাশিয়া সম্পর্ক নয়, বরং আঞ্চলিক ও ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ও চাপের মুখে দুই দেশই তাদের নিজস্ব মিত্র গড়ে তোলার পথে এগোচ্ছে।

এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ইরান ও রাশিয়া এমন এক জোট গড়ে তুলতে যাচ্ছে, যেটি ব্রিকস (BRICS), সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO) ও অন্যান্য বিকল্প অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্মেও নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। এমনকি চুক্তিটির কাঠামো পর্যবেক্ষণ করে অনেকেই একে চীন-রাশিয়া-ইরান ট্রায়াঙ্গেলের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখছেন।

তবে পশ্চিমা বিশ্ব এই চুক্তিকে কৌশলগত উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে ইরান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে পৃথকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। এখন দুটি নিষিদ্ধ রাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ অংশীদার হয়ে ওঠায় ভিন্ন কূটনৈতিক ও সামরিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে আগামী কয়েক বছরে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরেশিয়া অঞ্চলে শক্তি ও প্রভাবের নতুন ধারা তৈরি হবে, যেখানে পশ্চিমা চাপ মোকাবিলায় ইরান ও রাশিয়া একে অপরের কৌশলগত সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এটা শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০