উন্নয়নশীল আট দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা ডি-এইটের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মিশর সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি মঙ্গলবার তেহরানে নিজের সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, গত ১১ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো ইরানি প্রেসিডেন্ট মিশর সফরে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি একটি শক্তিশালী প্রতিনিধিদল নিয়ে ডি-এইটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলের আলাদা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনটি আজ (বুধবার) আরো পরে অনুষ্ঠিত হবে।
বাকায়ি বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার শীর্ষ নেতাদের সম্মেলনের আগে আজকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক থেকে শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করা হবে। ডি-এইটের সদস্য দেশগুলো হচ্ছে, ইরান, বাংলাদেশ, তুরস্ক, মিশর, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস ডি-এইট সম্মেলনে অংশ নিতে কায়রো সফরে যাবেন বলে ঢাকা থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৩ সালে ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ কায়রোয় অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে মিশর সফর করেছিলেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি তিনি মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
১৯৭৯ সালে ইরানের মার্কিন সমর্থিত সাবেক স্বৈরশাসক রেজা শাহ পাহলাভিকে উৎখাত করে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর ১৯৮০ সালে মিশর ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। পাহলাভি সরকার উৎখাতের নিন্দা জানিয়েছিল মিশর।
এছাড়া, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে তেল আবিবের সঙ্গে মিশরের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকেও ভালো চোখে দেখেনি ইরানের বিপ্লবী সরকার। ২০১১ সালে গণ আন্দোলনের মুখে মিশরের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পতনের পর তেহরান-কায়রো পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হলেও এখন পর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক পুঃস্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রঃ পার্সটুডে

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?