রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

স্বাস্থ্য

৩০ পেরিয়ে মা হতে চাইলে যেসব ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন

মা হওয়া সমস্ত নারীর কাছে এক আলাদা অনুভূতি। কখনো কেউ অল্প বয়সে মা হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ ৩০-এর ঊর্ধ্বে গিয়েও সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু ৩০-এর ঊর্ধ্বে মা হওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের শরীরের একাধিক সমস্যার দেখা দিতে পারে। জেনে নিন কোন কোন ঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে। ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৫:১৫

মা হওয়া সমস্ত নারীর কাছে এক আলাদা অনুভূতি। কখনো কেউ অল্প বয়সে মা হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ ৩০-এর ঊর্ধ্বে গিয়েও সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু ৩০-এর ঊর্ধ্বে মা হওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের শরীরের একাধিক সমস্যার দেখা দিতে পারে। জেনে নিন কোন কোন ঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে।

৩০ বছরের ঊর্ধ্বে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের, এবং সেই প্রভাব তাদের শিশুদের উপরেও পড়ে থাকে।

ক্রোমোজোমজনিত সমস্যাগুলি আরও মাথাচাড়া দেয়। তাতে সারাজীবন একটি শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভুগতে হয়। শিশুর মস্তিষ্কের গ্রোথ না হওয়া।

উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। মিসক্যারেজ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নর্মাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে সি-সেকশন হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

আর যদি যমজ সম্তানের জন্ম হয়, সেখানে অপুষ্টির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোনো নারী ডায়াবেটিক না থাকলেও ৩০-এর ঊর্ধ্বে প্রেগন্যান্সিতে ‘Gestational’ ডায়াবেটিস দেখা দিতে অর্থাৎ সুগার বেড়ে যায়।

স্বাস্থ্য

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতের বিকল্প হতে পারে চীন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারত ভিসা বন্ধ রাখায় চীন বাংলাদেশিদের জন্য দেশটির বিকল্প হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার (২৬ জানুয়ারি) চীন সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমনটা জানান তিনি।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হতে পারে চীনের কুনমিং। সেখানে চিকিৎসা খরচ ও যাতায়াতের খরচ তুলনামূলক কম। এ ক্ষেত্রে চীনকে ভিসা ফি কমানোর […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:০৭

ভারত ভিসা বন্ধ রাখায় চীন বাংলাদেশিদের জন্য দেশটির বিকল্প হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) চীন সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমনটা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হতে পারে চীনের কুনমিং। সেখানে চিকিৎসা খরচ ও যাতায়াতের খরচ তুলনামূলক কম। এ ক্ষেত্রে চীনকে ভিসা ফি কমানোর কথা বলা হয়েছে। যেহেতু ভারত ভিসা বন্ধ রেখেছে, সে ক্ষেত্রে কুনমিং বিকল্প হতে পারে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে একটি বড় হাসপাতাল করে দিতে রাজি হয়েছে চীন। সেটির স্থান নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা চলছে। আমরা বলেছি, আমাদের হাতে পূর্বাচলে সুন্দর জায়গা রয়েছে। সেখানে আমরা জায়গা দেয়ার কথা তাদের বলেছি।

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আলোচনায় ঋণের সুদ হার কমানো এবং পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে তাদের ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে বিষয়টি দেখবে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। তবে তিস্তার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

স্বাস্থ্য

প্রথমবারের মতো দেশে রিওভাইরাস শনাক্ত, লক্ষণ কি কি ?

দেশে প্রথমবারের মতো মিলেছে রিওভাইরাসের অস্তিত্ব। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হলেও এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না চিকিৎসকরা। কারণ, আক্রান্তদের শরীরে তেমন কোনো জটিলতা ধরা পড়েনি। চিকিৎসা শেষে সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন গণমাধ্যমকে […]

নিউজ ডেস্ক

১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:০৫

দেশে প্রথমবারের মতো মিলেছে রিওভাইরাসের অস্তিত্ব। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হলেও এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না চিকিৎসকরা। কারণ, আক্রান্তদের শরীরে তেমন কোনো জটিলতা ধরা পড়েনি। চিকিৎসা শেষে সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন গণমাধ্যমকে বলেন, খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে প্রতিবছর নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হন অনেকে। তেমন লক্ষণ দেখে সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর।

এদের মধ্যে নিপা ভাইরাস না মিললেও পাঁচজনের শরীরে পাওয়া গেছে রিওভাইরাস।তিনি আরও বলেন, নতুন রোগজীবাণু অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আইইডিসিআরের নিয়মিত গবেষণায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।আইইডিসিআরের এই পরিচালক বলেন, দেশে অনেক এনকেফালাইটিস রোগী পাওয়া গেছে। কিন্তু কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই গবেষণা এসব রোগীর চিকিৎসায় কাজে দেবে।

হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এতে আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। আর মারাত্মক হলে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে।এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই প্রথম এর দেখা মিললেও রিওভাইরাস মোটেও নতুন কোনো রোগ নয়। ১৯৫০ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় এই ভাইরাস। শীতকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।

স্বাস্থ্য

ক্যানসারের চিকিৎসায় টিকার ব্যবহার শুরু সেপ্টেম্বরেই

ক্যানসারের চিকিৎসা কতটা জটিল ও ব্যয়বহুল তা সবারই জানা।তবে সেই জটিলতা কাটাতে রুশ গবেষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফসল ক্যানসারের টিকা। চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকার ব্যবহার আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেক্সান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরেই মিলতে পারে সংস্থাটির তৈরি ক্যানসারের টিকা। রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:২৪

ক্যানসারের চিকিৎসা কতটা জটিল ও ব্যয়বহুল তা সবারই জানা।
তবে সেই জটিলতা কাটাতে রুশ গবেষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফসল ক্যানসারের টিকা। চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকার ব্যবহার আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেক্সান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরেই মিলতে পারে সংস্থাটির তৈরি ক্যানসারের টিকা। রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান তিনি। খবর আরটি’র।

গিন্টসবার্গ বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকার ব্যবহার সংক্রান্ত অনুমোদনে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে আবেদন করেছি। আগস্ট শেষ হওয়ার আগেই সম্ভবত অনুমোদন দেয়া হতে পারে বলে আভাস পেয়েছি আমরা।
মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকার ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, যাদের ইতোমধ্যে ক্যানসার ধরা পড়েছে তাদেরকে এই টিকা দেয়া যাবে। টিকার মূল ওষুধ মানবদেহে প্রবেশের পর সেটি অল্প সময়ের মধ্যেই রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলে।
এই প্রশিক্ষিত প্রতিরোধী শক্তিই ক্ষতিকর ক্যানসার কোষগুলোকে প্রথমে শনাক্ত ও পরে ধ্বংস করে।

চলতি বছর আরও কয়েকটি ক্যানসারের ওষুধ এবং টিকা বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান গিন্টসবার্গ। কারণ রাশিয়ার অনেক সরকারি-বেসরকারি কোম্পানি এখন এ সংক্রান্ত গবেষণার দিকে ঝুঁকছে।

ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এর আগে বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছিলেন, ‘পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন টিউমারের বিকাশ এবং সম্ভাব্য মেটাস্টেসগুলোকে দমন করে রাখে, ছড়াতে দেয় না।

রাশিয়ার ভ্যাকসিন প্রধান আন্দ্রে কাপ্রিনের মতে, এখন ব্যক্তিগত ভ্যাকসিন তৈরি করতে বেশ দীর্ঘ সময় লাগে; কারণ গাণিতিক ভাষায় একটি ভ্যাকসিন, বা কাস্টমাইজড এমআরএনএ কীভাবে ম্যাট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে তার কম্পিউটিং করা হয়।
আমরা ইভানিকভ ইনস্টিটিউটকে যুক্ত করেছি যা এটি করতে এআই’র (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ওপর নির্ভর করবে।
মানে নিউরাল নেটওয়ার্ক কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে এই পদ্ধতিগুলো প্রায় ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হবে।