শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ফিচার

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ রাজপথে কিভাবে?

চট্টগ্রামে রাস্তায় নেমেছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা। চব্বিশ ঘণ্টার মাথায় নগরীর পল্টন রোড ও ব্যস্ততম প্রবর্তক মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। দুইদিনে পৃথক দুটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘একটা গুলি চললে, পাল্টা গুলি চলবে, শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ স্লোগান ও দিয়েছে খুন সন্ত্রাসসহ নানা অপরাধে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনের কর্মীরা।   রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, […]

নিউজ ডেস্ক

২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩

চট্টগ্রামে রাস্তায় নেমেছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা। চব্বিশ ঘণ্টার মাথায় নগরীর পল্টন রোড ও ব্যস্ততম প্রবর্তক মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। দুইদিনে পৃথক দুটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘একটা গুলি চললে, পাল্টা গুলি চলবে, শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ স্লোগান ও দিয়েছে খুন সন্ত্রাসসহ নানা অপরাধে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনের কর্মীরা।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বার বার রাস্তায় নামার দুঃসাহস দেখাচ্ছে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরেরা। নিষিদ্ধ হওয়ার পর রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।

এসব খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্টের গণহত্যাসহ বিগত দেড় দশকে অগণিত খুনের ঘটনায় সুস্পষ্ট মামলা রয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি, দখলবাজি এবং মাদকের মামলাও আছে। স্বৈরাচারের পতন হলেও আওয়ামী অপরাধীদের দূর্গের কোন হেরফের হয়নি।

 

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার তিন মাস পার হয়েছে। এ সময়ের মধ্যেও ছাত্রলীগ ও আওয়ামী অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাড়াঁশি কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। মাঝে মধ্যে পুলিশের নিয়মিত অভিযানে দু’একজন ক্যাডার ধরা পড়ছে। কিন্তু বাকিরা থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসের দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও তাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার হয়নি।

আর এ সুযোগে পতিত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী এসব অপরাধীরা গোপনে সংঘটিত হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা প্রকাশ্যে দিনের আলোতে ছাত্র জনতার ওপর গুলি করে ১১ জনকে হত্যা করেছে তারাই এখন সরকার বিরোধী চক্রান্ত ও নাশকতার ছক আঁকছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে পতিত স্বৈরাচারের নিকৃষ্টিতম দোসর মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পাতালে থেকে নির্দেশনা দিয়ে তার ক্যাডারদের সংগঠিত করার খবরও রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ভয়ঙ্কর অপরাধীদের গ্রেফতার এবং তাদের অবৈধ অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার করা না হলে সরকারকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করে বসবে তারা। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন এলাকায় তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার আড়ালে পরাজিত শক্তির দোসরেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। নগরীর হাজারী গলিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসকনের বিরুদ্ধে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে নেপথ্যে ছিল ছাত্রলীগ যুবলীগ।

ওই ঘটনায় সেনা সদস্য ও পুলিশের ওপর ভয়ঙ্কর এসিড হামলা হয়। পরে সেখান থেকে নগর যুবলীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির কয়েকটি ঘটনায়ও ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ চব্বিশ ঘণ্টার মাথায় সোমবার রাতে নগরীর দামপাড়ার পল্টন রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা।

মিছিলটি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু হয়ে মেহেদীবাগের দিকে চলে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় মিছিলকারীদের মুখে মাস্ক পরা। মিছিলের সামনে থাকা এক ক্যাডারের হাতে একটি কালো ব্যাগ দেখা যায়।

তাতে আগ্নেয়াস্ত্র বা ভারী কিছু ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা ধীরগতিতে মিছিল নিয়ে মেহেদীবাগের দিকে এগিয়ে যায়। তবে সেখানে কোন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। এর আগে রোববার রাতেও তারা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। প্রবর্তক মোড়ে এ মিছিলটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. সোলায়মান বলেন, একদল যুবক ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রবর্তক মোড় হয়ে বদনাশাহ মাজারের সামনে গিয়ে শেষ করে বিভিন্ন অলি-গলিতে ঢুকে পড়ে। মিছিলকারীদের সংগঠিত করার অভিযোগে দিদারুল আলম (৪২) নামে এক জনকে শিশু একাডেমি এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলকারীদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক দেয়া ছিল। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সেøাগানের পাশাপাশি চলছে লড়াই চলবে শেখ হাসিনা লড়বে, শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই, বার বার দরকার শেখ হাসিনার সরকার- স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল করার আগে তারা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হন।

এরপর সংঘবদ্ধ হয়ে মিছিল বের করেন। এ সময় আশপাশে কোথাও পুলিশকে দেখা যায়নি। ছাত্রলীগের নামে মিছিল দেখে হতবাক হন পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের অনেকে নিষিদ্ধ সংগঠনের মিছিল করা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। স্থানীয়রা বলেন, পুলিশের আসকারা পেয়ে এসব চিহ্নিত খুনিরা রাস্তায় নামার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। জানা গেছে নওফেলপন্থি ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা রাস্তায় নামছে। আর নেপথ্যে থেকে তাদের সংগঠিত করছেন নওফেল।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও অনেকটা আড়ালে চলে যায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। কিন্তু ব্যতিক্রম চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন। হাতেগোনা কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের মধ্যেই সীমিত থাকে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান।

অনেকে মনে করেন, শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের কারণেই চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ ক্যাডারেরা গ্রেফতার এড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতার সাথে মেট্রোপলিটন পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে এখনো যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। মূলত এ কারণেই ছাত্রলীগের কাডারেরা চট্টগ্রাম থেকে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে নগরীর জামালখানেও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারেরা। তাদের ওই কর্মসূচির পরও জোরদার হয়নি পুলিশের গ্রেফতার অভিযান।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে নিপীড়ত, নির্যাতনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন আইন অনুযায়ী গত ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ধারণা করা হয়েছিল, নিষিদ্ধ হওয়ার পর ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার হবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোচিত্র বিরাজ করছে নগরীতে। বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তাদের দেখা যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ১১ জনের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট মামলা হয়। এ মামলার আসামিদের অনেকেও এখন প্রকাশ্যে। অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় তারা সংঘবদ্ধ হচ্ছে। #

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”