সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

পরিবর্তনহীন কোঠায় চলছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়

আওয়ামী লীগের নেতারা সভাপতির পদে বসে যে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে তারা এখনো বহালে রয়েছে স্বৈরশাসকের শাসন আমলে নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে নিয়োগ বাণিজ্য ও দলীয় লোকদের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার শাসন আমলের নিয়ককৃত প্রধান শিক্ষকরা এখনো রামরাজত্ব চালিয়ে আসছে। […]

নিউজ ডেস্ক

২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:০৭

আওয়ামী লীগের নেতারা সভাপতির পদে বসে যে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে তারা এখনো বহালে রয়েছে

স্বৈরশাসকের শাসন আমলে নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে নিয়োগ বাণিজ্য ও দলীয় লোকদের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার শাসন আমলের নিয়ককৃত প্রধান শিক্ষকরা এখনো রামরাজত্ব চালিয়ে আসছে।

স্বৈরশাসকের পতনের পর সর্বস্তরে সংস্কার ঘটলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে কোন সংস্কার হয়নি। সভাপতি বাতিল হলেও প্রধান শিক্ষক বহাল রয়েছে। এই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধানরা সময়ের সাথে সাথে রূপ পাল্টালেও গোপনে মানসিকতা ঠিকই থাকবে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরশাসন আমলে এমপির ডিও লেটারের মাধ্যমে স্থানীয় নেতারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে সভাপতি আসন দখল করে। তাদের শাসন আমলে যে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সে সমস্ত বিদ্যালয়ে দলীয় ও নিয়োগ বাণিজ্যর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদেরকে চিহ্নিত করে সংস্কারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান স্থানীয় সুধীজনরা। ছাত্র ও জনতার কোটা ও সংস্কার আন্দোলন বিপ্লব ঘটার পর বিভিন্ন দপ্তরে সংস্কার শুরু হয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে সংস্কার না হওয়ায় তাদের লেজুর এখনো বিরাজ করছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলন চলাকালীন সময় ওই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধানরা ছাত্রদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

ইতিমধ্যে অনেকেই রূপ পাল্টাতে শুরু করেছে। তারা নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিদ্যালয় গুলিতে এডহোক কমিটি গঠন করতে শুরু করেছে নতুন কৌশল। এবারও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে ছাত্র অভিভাবকরা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকছে। সূত্রটি আরো জানান, যে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এরূপ চিত্র রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিক সংস্কারের আওতায় আনা হোক।

অন্যান্য

ডিসেম্বরে চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৪ দিন ছুটি

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার। রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৮

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।

রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চারদিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ ‍দুদিন ছুটি পালন করা হবে।

তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।

এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেকেরই ব্যক্তিগত নানান জরুরি কাজ থাকে।

তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলে কোথাও টুরে যাওয়া যায় বা কোনো পরিকল্পনা করা যায়। তাই এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ।

 

 

 

শিক্ষাঙ্গন

দেশ ত্যাগের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর থেকে ফেরত সাবেক পিএইচডি আপা

দেশ ত্যাগের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফেরত পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের নারী সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে। পিএইচডি গবেষণায় জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে পিএইচডি আপা বলে ডাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা। রবিবার টার্কিস এয়ারলাইন্সের (টিকে-৭১৩) একটি বিমানে তিনি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার সঙ্গে ব্রিটিশ […]

নিউজ ডেস্ক

১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:০৬

দেশ ত্যাগের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফেরত পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের নারী সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে। পিএইচডি গবেষণায় জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে পিএইচডি আপা বলে ডাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা।

রবিবার টার্কিস এয়ারলাইন্সের (টিকে-৭১৩) একটি বিমানে তিনি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল। সোমবার বিমানবন্দর ও সরকারের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বৈরাচারের তকমা লাগিয়ে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পালানোর পর ১২ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সাদেকা হালিম ভিসি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক জবি ভিসি সাদেকা হালিম।
জানা যায়, রবিবার দেশত্যাগের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান সাদেকা হালিম। তার কাছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল। বিমানবন্দরের দায়িত্বশীলরা তাকে আটকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তার পাসপোর্ট রেখে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর সাদেকা হালিম সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

জবির সাবেক এই ভিসির দেশত্যাগের চেষ্টার বিষয়ে বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, গতকাল তিনি যুক্তরাজ্যে যাবেন বলে বিমানবন্দরে আসেন। তার টিকিট কাটা ছিল টার্কিস এয়ারলাইন্সে। এসময় তিনি একাই ছিলেন। ইমিগ্রেশনে তাকে (সাদেকা) দেখে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বসতে বলেন। পরে কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন করে সেখানে ডাকা হয়। বেশকিছু সময় তাকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নানান বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সাদেকা হালিমকে জানানো হয়, তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না এবং তার পাসপোর্টটি রেখে যেতে হবে। পরে তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে কোটাকে কটাক্ষ করে বক্তব্য প্রদান ও শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতি অঘাত বিশ্বাসের বুলি ফুটাতেন সাদেকা হালিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মোটিভ ও কৌশল সম্পর্কে জানার জন্য শেখ হাসিনা পালানোর দুইদিন আগে গত ৩ আগষ্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষক, কর্মকর্তাদের নিয়ে গণভবনে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য তারা শপথ নিয়েছিলেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পিএইচডি জালিয়াতি অভিযোগ আছে। তবুও তার নামের শেষে পিএইচডি নামটি যোগ না করলে এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে হতো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নাম ছিল পিএইচডি আপা। ভিসি থাকাকালীন মসজিদে ঢুকে বক্তব্য দেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন তিনি।

 

শিক্ষাঙ্গন

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সমাজবিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগে রিকশাচালকদের ট্রাফিক নিয়ম সচেতনতা বৃদ্ধি

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি): ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০০:২৫

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি):

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, ক্লাবের পক্ষ থেকে রিকশাচালকদের জন্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ক্লাব।