রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

সীমান্তে রক্তঝরা এক দশক: বিএসএফের গুলিতে ৩০৫ বাংলাদেশি নিহত, মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে উদ্বেগ

সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:     ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলি ও নির্যাতনে ৩০৫ জন বাংলাদেশি নিহত এবং ২৮২ জন আহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে, যা সীমান্তে নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের নাজুক চিত্র ফুটে তুলেছে ।   এইচআরএসএসের […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৪৯

সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:    

২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলি ও নির্যাতনে ৩০৫ জন বাংলাদেশি নিহত এবং ২৮২ জন আহত হয়েছেন।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে, যা সীমান্তে নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের নাজুক চিত্র ফুটে তুলেছে ।  

এইচআরএসএসের তথ্যানুযায়ী, গত দশকে সর্বোচ্চ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ২০২০ সালে (৫১ জন নিহত), এরপর ২০১৫ (৪৩ জন) এবং ২০১৯ সালে (৪২ জন)। নিচের টেবিলে বছরে হতাহতের বিস্তারিত চিত্র: 

 | বছর  | নিহত | আহত

|——–|——-|——-|

| ২০১৫ | ৪৩  | ৫৪  |

| ২০১৬ | ২৮  | ২৮  |

| ২০১৭ | ৩০  | ৩৭  |

| ২০১৮ | ১৫  | ১২  |

| ২০১৯ | ৪২  | ২৫  |

| ২০২০ | ৫১  | ২৫  |

| ২০২১ | ১৭  | ১৪  |

| ২০২২ | ২৩  | ৩১  |

| ২০২৩ | ৩০  | ৩১  |

| ২০২৪ | ২৬  | ২৫  |  

২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসেই ইতিমধ্যে ৪ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হওয়ার খবর নথিভুক্ত হয়েছে।  

হত্যাকাণ্ডের পিছনে কারণ

১. শ্যুট-অন-সাইট নীতি: বিএসএফের বিতর্কিত “দেখামাত্র গুলি” নীতি প্রধান কারণ। এই নীতির অজুহাতে নিরস্ত্র কৃষক, গবাদি পশু ব্যবসায়ী এবং সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

২. চোরাচালান ও অর্থনৈতিক সংকট: ৯০% হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা গরু পাচার বা দারিদ্র্যের কারণে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

৩. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা: ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সীমান্ত পারাপারের চেষ্টা বেড়ে যাওয়ায় বিএসএফের কঠোরতা বৃদ্ধি পায়।

৪. জবাবদিহিতার অভাব: বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, যা তাদের স্বেচ্ছাচারিতাকে উৎসাহিত করে।  

ভৌগোলিক বৈষম্য ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ: সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এখানে। ২০২০-২০২৪ সালে রংপুরে ৬১ জন নিহত হন।  

লালমনিরহাট জেলা: গত পাঁচ বছরে ১৯ জন নিহত হওয়ায় এটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা।  

অরক্ষিত সীমান্ত: যেসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই (যেমন যশোরের বেনাপোল), সেখানে হামলার ঘটনা বেশি।  

দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও ব্যর্থতা

২০১৮ সালের চুক্তিতে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পতাকা বৈঠক ও কূটনৈতিক আলোচনা সত্ত্বেও বিএসএফের গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। 

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মতে, ২০০৯-২০২৪ সালে ৬০৭ জন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে প্রাণ হারান।  

মানবাধিকার সংস্থার প্রতিক্রিয়া ও সুপারিশ এইচআরএসএস: সব হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন তদন্ত ও আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়েরের আহ্বান।  

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ: বিএসএফের “অত্যধিক বলপ্রয়োগ” নীতির নিন্দা এবং ভারতের আইনের শাসন নিশ্চিত করার দাবি। 

বিশেষজ্ঞ মতামত: সীমান্তে অহিংস পদ্ধতি (যেমন রাবার বুলেট) প্রয়োগ এবং স্থানীয় জনগণের সাথে সমন্বয় বাড়ানোর পরামর্শ।  

সম্ভাব্য সমাধানের পথ

১. শ্যুট-অন-সাইট নীতি বাতিল: নিরস্ত্র নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি বন্ধ করতে হবে।  

২. দ্বিপক্ষীয় তদন্ত কমিটি গঠন: প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করা।  

৩. সীমান্ত অবকাঠামো উন্নয়ন: কাঁটাতারের বেড়া ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে নজরদারি বৃদ্ধি।  

৪. আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা: জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ কাম্য।  

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কেবল সংখ্যায় নয়, মানবিক ও কূটনৈতিক সংকট হিসেবেও উদ্বেগজনক। দুই দেশের সরকারের জরুরি ভিত্তিতে সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে এই রক্তপাত বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

প্রতিটি প্রাণহানির পেছনে যে মানবিক ট্র্যাজেডি লুকিয়ে আছে, তা বিবেচনায় এনে ন্যায়বিচার ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

সারাদেশ

মির্জাগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে মাদক ব্যবসায়ী সহ গ্রেফতার ৫ জন

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩৩

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত লোটাস উপজেলা সদরস্থ দেউলী গ্রামের রমজান আলীর পুত্র। 

এছাড়াও অল্প সময়ের ব্যবধানে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নিজাম হাওলাদার (৪৯) ও তাঁর সঙ্গী রুবেলকে (৪০) মির্জাগঞ্জ ব্রীজের উপর থেকে ৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্ধ করা হয়।

আটককৃত নিজাম হাওলাদার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মৃত মুনসুর আলী হাওলাদারের পুত্র ও রুবেল পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের সামসু হাওলাদারের পুত্র। আটককৃত রুবেলের বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৫টি মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে একই উপজেলার মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মজিদবাড়িয়া গ্রামের করিম মৃধার পূত্র মিরাজ মৃধা (২৫)-কে ১০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

মিরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং তিনি আন্ত:জেলা মাদক কারবারের সাথে জড়িত।  

অন্যদিকে উপজেলা সদরস্থ দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী গ্রামের কাঞ্চু কবিরাজের পুত্র নুরুল হক নামে এক ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামিকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাওলাদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদেরকে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদক ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

সারাদেশ

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম। জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে […]

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

ছবি : সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১০ মার্চ ২০২৫, ১৩:৫০

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।

জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে বেশ অনেকদিন ধরে নিজের কন্যাশিশুটির সঙ্গে অনৈতিকভাবে মেলামেশার চেষ্টা করে আসছিলেন বাবা প্রদীপ বণিক।

এর আগে যতোবারই এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, শিশুটি তার মা বাসায় ফেরার পর বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কান্নাকাটিও করতো। কিন্তু মায়ের কাছেও পুরো বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হতো।

কয়েকদিন আগেও শিশুটিকে যখন বাবা প্রদীপ বণিক ধর্ষণ করে, তখন মেয়েটি সারাক্ষণই কান্নাকাটি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাকে সবকিছু খুলে বলে। তখন মা তাকে একটি মোবাইল হাতে দিয়ে বলেন, যখনই বাবা ওরকম কিছু করার চেষ্টা করবে, তখন মোবাইলে ভিডিও করে রাখবে।

রোববার বেলা তিনটার দিকে প্রদীপ বণিক রোজকারমতো মেয়েকে বিছানায় টানার চেষ্টা করলে সে কৌশলে মোবাইলের ভিডিও সচল করে দেয়। গার্মেন্টসের কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর সেই ভিডিও দেখে মা ও মেয়ে দুজনেই চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় আশেপাশে তাদের কয়েকজন নিকটাত্মীয়ও সেখানে আসেন।

এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় জরুরি সহায়তা সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনা জানানো হলে পুলিশ এসে প্রদীপ বণিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে ধর্ষিতা শিশুটিকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করানো হয়

সোমবার রাত একটার দিকে এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার বাদি হয়েছেন শিশুটির মা নিজে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, “এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন মেয়েটির মা নিজেই। পুলিশ এখন এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে।”

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩