নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদী জেলা দায়রা জজ আদালতে গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর চালিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী ) সকালে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগের ১০ কর্মীকে কোর্ট হাজতে রাখা হয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপস্থিতে আদালত পাড়ায় উত্তেজনা পূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়।
ছাত্রলীগ আদালত চত্বরে জয় বাংলা ও শেখ হাসিনা ফিরবে শ্লোগান দেওয়ায় ছাত্র জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও ছাত্র লীগের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
পরে আদালত প্রাঙ্গণে তাদের উপর হামলা চালায় বৈষম্য বিরোধীরা। আদালতে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও নরসিংদী আইনজীবী সমিতির ভবনে থাকা সাবেক শিল্পমন্ত্রী এ্যাড নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের মুরালে ভাংচুর চালায় তারা।
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১০ নেতা কর্মীকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ নিয়াজীর আদালতে এই আদেশ দেয়া হয়।
পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় এনে পুলিশি ও ডিবি পাহাড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আদালতে তোলা হয়। পরে পুলিশ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ নিয়াজীর আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত থেকে পূনরায কোর্ট হাজতে নেয়ার সময় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আক্রমণের শিকার হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়।
এসময় নরসিংদী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর
এ্যাড আবদুল বাছেদ ভূইয়ার নেতৃত্বে আদালতের এপিপি এ্যাড মিজানুর রহমান সরকার, এ্যাড. মাজেদুল হক রুবেল, এ্যাড. খন্দকার মেহেদী হাসান,
এ্যাড. আবদুল কাদের ভূইয়া টিটু, এ্যাড. জাহিদ হাসান ভূইয়া ও জহিরুল হক জুয়েলসহ আইনজীবীরা রিমান্ড শুনানিতে অংশগ্রহণ করে।
নরসিংদী আদালতের এপিপি এ্যাড. খন্দকার মেহেদী হাসান বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আদালতে তোলা হয়। আমরা ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
এর আগে সোমবার ভোরে নরসিংদী থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে পার্শবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকা থেকে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।