শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

নদী ভাঙ্গনের ফলে খোলা আকাশের নীচে বসবাস শতাধিক পরিবারের

জুয়েল রানা,রৌমারী(কুড়িগ্রাম): রৌমারী উপজেলায়  ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ গুলো অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন। ইতোমধ্যে অসময়ের ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার বসতবাড়ীসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুকনো মৌসুমে ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারানো শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে দেখার যেন কেউ নেই। বর্তমানের ভাঙ্গনে উপজেলার চর শৌলমারী […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩:৩১

জুয়েল রানা,রৌমারী(কুড়িগ্রাম):

রৌমারী উপজেলায়  ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ গুলো অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন। ইতোমধ্যে অসময়ের ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার বসতবাড়ীসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শুকনো মৌসুমে ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারানো শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে দেখার যেন কেউ নেই। বর্তমানের ভাঙ্গনে উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী,সুখের বাতীসহ এককিলোমিটার জুড়েই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় বসতবাড়ী হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও পাশে দ্বারায়নি কেউ। অসময়ের নদী  ভাঙ্গনের ফলে ফসলি জমিসহ, সরকারী, আধাসরকারী, প্রতিষ্ঠান ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে।

বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে কয়েক মাসে যেসব এলাকা বিলীন হয়েছে রৌমারী উপজেলার ইটালুকান্দা, সাহেবের আলগা, চর গেন্দার আলগা, ঘুঘুমারী,খেওয়ারচর, খেদাইমারী, পশ্চিম বাগুয়ারচর,বাইস পাড়া, বলদমারা, পশ্চিম পাখিউড়া, ফলুয়ার চর, পালেরচর, ধনারচর, দিগলাপাড়া, তিনতলী গ্রাম। অপদিকে যেসব এলাকা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বাগুয়ারচর, বাইটকামারী, উত্তর খেদাইমারী, দক্ষিণ খেদাইমারী, উত্তর পাখিউড়া, পশ্চিম খন্জনমারা কুঠিরচর, চর বাঘমারা, চর বন্দবেড়, সাহেবের আলগা, গেন্দার আলগা, ধনারচর, দিগলাপাড়া। আর রাজিবপুর উপজেলার উত্তর সাজাই, দক্ষিণ সাজাই, মাধবপুর, কড়াতিপাড়া, রাজিবপুর উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য গুদাম, হাসপাতাল, টিএ্যান্ডটি ভবন।

মোহনগঞ্জ ইউনিয়নসহ প্রায় ২৫টি গ্রাম ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। এসব এলাকা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভাঙ্গণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে সর্ব শান্ত পরিবার গুলোর আহাজারী। অসময়ের ভাঙ্গনে সুখের বাতী – ঘুঘুমারীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পরায় নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। নদীর তীরঘেষা অসহায় মানুষ গুলো ভিটামাটি হারিয়ে সড়কের এক কুনে অন্যের বাসঝারে ঘর কাউড়া দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও প্রশাসনিকভাবে কোনপ্রকার আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি কেউ।

এবিষয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন এই মুর্হুতে কোনপ্রকার বরাদ্দ নেই। তিনি আরও বলেন আমরা এসব এলাকার তালিকা করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি বরাদ্দ আসলেই নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে।

নদী ভাঙ্গনের বিষয় চর শৌলমারী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এস এম, সাইদুর রহমান বলেন, চর শৌলমারী ইউনিয়ন টি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেখার কেউ নেই।

এবিষয় রৌমারী নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল দিও বলেন আমি ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়েছিলাম দেখে আসছি তাদের বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে। এবিষয় আমি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছি।

সারাদেশ

সেই ৩ ডাকাতের মিলেছে পরিচয়

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৪

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী মনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের চিল্লাচিল্লি শুনে এগিয়ে এসে দেখি ব্যাংকে ডাকাত ঢুকেছে। এসময় ব্যাংকের গেট ও জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, আটক তিন ডাকাতের বয়স ১৮ থেকে ২০ হবে। জানালা দিয়ে সবাইকে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেয়। সবার মুখে মাস্ক ছিলো। হাতে অস্ত্র ছিলো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।

জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক–সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।

 

সারাদেশ

নাটোরে ট্রেনের হুক ভেঙে বগি বিচ্ছিন্ন

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি): নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি):
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে এ ঘটনা ঘটে।
অপর লাইনগুলো সচল থাকায় অন্যান্য ট্রেন চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটেনি।
মাধনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ উজ্জ্বল আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে প্রবেশ করে।
স্টেশন বিরতি শেষে ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের (ঝ) বগি ও (ঞ) বগির মাঝখানের সংযোগ হুক ভেঙে বগি দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে মেরামত শেষে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অন্যান্য

ডিসেম্বরে চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৪ দিন ছুটি

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার। রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৮

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।

রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চারদিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ ‍দুদিন ছুটি পালন করা হবে।

তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।

এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেকেরই ব্যক্তিগত নানান জরুরি কাজ থাকে।

তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলে কোথাও টুরে যাওয়া যায় বা কোনো পরিকল্পনা করা যায়। তাই এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ।