সাইফুল ইসলাম-কলাপাড়া উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ভাঙারী চোরাই চক্র বেপেরোয়া হয়ে উঠেছে।পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পরে কাজে ব্যবহৃত স্টিল,তামা,লোহা লক্কর ফ্রী স্টাইলে চোরাই পথে বিক্রি অব্যাহত থাকলওে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরব দর্শকের ভুমিকায়। চোরাই চক্ররে সাথে অর্থ সখ্যতার বদৌলতে ভাঙারী বানিজ্য রমরমা।
২০১৬ সাল থেকে রাজনতৈকি দলের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনে এ অবৈধ বানিজ্য চলে আসছে। পায়রা তাপ বদ্যিুৎ প্লান্টরে একটি অসাধু চক্র ভাঙারী চোরাই বানিজ্য সরাসরি জড়িত থাকার গুনজন আলোচনার চাউর হয়ে উঠেছে। লোহালক্কর, স্টিল, তামা, সোলার প্যানলে, বিদ্যুৎ ট্রন্সমিটার, ব্যাটারী, টিউবওয়েলের হ্যান্ডল ভাঙারী ব্যবসায়ীরা পাচার করছে। বিরামহীন অবধৈ বানিজ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে আঙুল ফুলে বটগাছ হবার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গওলাতলা স্পটে ভাঙারী চোরাই চক্র দুটি টিনের ঘরে চোরাই ভাঙারী সংরক্ষন করে এগুলো সড়কপথে ট্রাক যোগে ভাঙারী ব্যবসায়ীদরে কাছে চলে যায় লোক চক্ষুর অন্তরালে।
সম্প্রতি চম্পাপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী ব্রীজের পুরাতন লোহালক্কর রাতের অন্ধকারে ঘাতক হামজায় ভরে পাচার করে দিয়েছে চোরাই চক্রের হোতা প্রভাবশালী রেন্টু হাওলাদের নেতৃত্ব।
পুরাতন ব্রীজরে প্রায় ২০লাখ টাকা মুল্যের লোহালক্কর ছিনিয়ে নিবার সময় ঐ রাতে গোলবুনিয়া গ্রামে যাবার পথে রিন্টু হাওলাদার সহ ১০/১২ জনকে দেখতে পান মাছুয়াখালী ০৫ নং ওর্য়াডের জদু মিয়া।
তাকে ধরে নিয়ে মুখ না খোলার হুমকীও দেয়া হয়। এসময় কৃস্নপুরের আলমগীর ফকির, একাধিক মাদক মালার আসামী উল্ফা আলামীন, শরাফউদ্দনি, আনেচ গাজী হামজায় চোরাই মালামাল পরবিহনে রিন্টু হাওলাদাররে সাথে থাকার অভিযোগ রয়েছে ।
রিন্টু হাওলাদাররে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।
ধানখালীর গিলাতলা চোরাই স্পটে তাপবদ্যিুৎ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীরের নিচ থেকে সুরং কেটে চোরাই মালামাল পাচার হচ্ছে দিনরাত। গিলাতলা স্পট থেকে ভাঙারী ব্যবসায়ীদের গোডাউনে চলে যায় এসকল চোরাই মালামাল। এখানে দুটি টিনের ঘর তৈরি করে বহাল তবিয়তে চোরাই গোডাউনে সংরক্ষন করা হয়।
গিলাতলায় চোরাই চক্রের সোহেল মোল্লা, কালাম তালুকদার, রাসেল গাজী, বায়জিদ মোল্লা, স্বপন বয়াতী, তৌহীদ মুন্সী, সাইদুল ইসলাম দিনরাত চোরাই ভাঙারী পাচারে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ।
ফ্রী স্টাইলে চোরাই চক্র তৎপর থাকলেও রহস্যজনক কারনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নীরবতায় হাজারো প্রশ্ন বিরাজমান। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কতিপয় অসাধু ব্যক্তির অর্থ সখ্যতায় ব্যাংগের ছাতার মতোই গজিয়ে ওঠা ভাঙারী ব্যবসা প্রতষ্ঠিান সমাজবিরোধীদের দখলে।
কলাপাড়া,মহপিুর,আলীপুর,নোমরহাট সহ সকল হাটবাজারে চোরাই ভাঙারী বিক্রি চলছে বহাল তবয়িত।
কলাপাড়া পৌর শহররে হেলিপ্যাড সংলগ্ন চোরাই ভাঙ্গারী মালিক অপু সাহার আড়ৎতে দিনরাত প্রকাশ্যে চোরাই মালামাল বোঝাই ট্রাক লরি লোড আনলোড হচ্ছে। ফেরী ঘাটের কিবরিয়া ও এখন বেপোরোয়া। চোরাই ভাঙারী সংরক্ষনের জন্য অপু সাহা ও কিবরিয়া চোরাই চক্রের মাঝে কোটি টাকা লগ্নির আভাস পাওয়া গেছে।
চোরাই ভাঙারী ব্যবসায়ী কিবরিয়া ইতোপূর্বে চোরাই মালামাল সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হয়ে জেল খেটেছে। অপু সাহা সামান্য মেকার থেকে ভাঙারী চোরাই ব্যবসায়ী হিসেবে ফুলে ফেপে উঠেছে। বেআইনি কর্মকান্ড চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট কারীদের উৎসাহ দিয়ে লোহালক্কর চোরাই চক্রকে লালন করে আসছে অপুসাহা।
এ বিষয় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী অপু সাহা জানান, গিলাতলা থেকে আমি এক গাড়ী ভাঙ্গারী মাল এনেছি। তবে ধানখালীর লোন্দায় ৫ টি ও নোমোর হাট বাজারে ভাঙ্গারী দোকান খুলে ওপেনে মালামাল কেনাবেচা হচ্ছে।ভাংগারী ব্যবসায়ী কিবরিয়া বলেন, আমি চোরাই ব্যবসা করিনা কাগজপত্র থাকলে মাল কিনি এ ছাড়া কিনিনা।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি মো.জুয়লে ইসলাম বলনে, চোরাই মাল চোরাই পথে নেয়ার সময় অনেক মাল আটক করা হয়েছে। এ বিষয় কেহ মামলা করতে ইচ্ছুক নয়, চোরাই মাল থানার সামনে পরে আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?